ক্ষণিকের জন্য মুক্তি পেতে চলেছেন দেবযানী। দেবযানী মুখোাধ্যায়।
আপনাদের কি মনে আছে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে ? মনে নেই, তাইতো? স্বাভাবিক মনে না থাকারই কথা। শুধু দুটি শব্দ বললে আপনাদের এক্ষুনি এই দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে মনে পড়ে যাবে। আপনাদের নিশ্চিৎ মনে আছে ‘সারদা কান্ড ‘-র কথা । হ্যাঁ ঠিকই ভেবেছেন সেই দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের কথাই বলা হচ্ছে। দীর্ঘ এক দশক বাদে মুক্তি পেতে চলেছেন দেবযানী। খুব অবাক লাগছে তাই না ? শুনুন বিস্তারিত।
সারদা অথবা চিটফান্ড কান্ড বলেই আমরা যাকে চিনি সেই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গিনী ছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সারদা মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত ও দেবযানীকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। সারদা চিটফান্ডের তদন্তে গ্রেফতার হয়েছিলেন মালিক সুদীপ্ত সেনের সেই দেবযানী। যাকে ঘিরে সমগ্র দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তাদের কেউই জামিন পাননি, আজও। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এই মামলা, তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেলের মেয়াদ বাড়তে থাকে দেবযানী ও সুদীপ্ত-র।
সূত্রের খবর , জেলে থাকাকালীন দেবযানীর মায়ের সঙ্গে ফোনেই বাক্যালাপ চলত। কয়েকদিন যাবৎ তার মা হটাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি দেবযানীর আইনজীবী অভিজিৎ বল আবেদন করেন, মেয়েকে এভাবে কারাগারের ভিতরে থাকায় দেখতে পারছেন না দেবযানীর মা। ভিডিও কল করলেই তাঁর মা উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। এখন তাঁর মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি নেই। তাই মাকে দেখতে চেয়ে প্রথমবার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে এবং বিশেষ সিবিআই আদালতে প্যারোলের আবেদন করেন দেবযানী। তা মঞ্জুরও হয়েছে।
৫ জুন মাত্র চার ঘন্টার জন্য দেবযানী প্যারোলে মুক্তি পাবেন। হ্যাঁ, শুধু ৪ ঘন্টার জন্য তিনি ছাড়া পাবেন মাকে দেখতে যাওয়ার সূত্রে। ৪ ঘন্টা বাদে আবার সেই বন্দি জীবনে ফিরে যাবেন তিনি। বাংলার প্রবচনে রয়েছে- ” কর্মফল খন্ডায় কে “? এত মানুষের চোখের জলের দাম দেবযানীকে তো দিতে হবেই -এটাই তো স্বাভাবিক।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কলকাতা।