Kolkata & Dhupguri: ধূপগুড়ির ভোট মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত ১৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে। মঙ্গলবার রাতে জারি করা এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যার মধ্যে ৩ কোম্পানির সিআরপিএফ, ৭ কোম্পানি বিএসএফ, ২কোম্পানি ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ, বাকি ১৫ কোম্পানি থাকছে এসএসবি।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির পর এবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি। গত কয়েক মাস আগেই সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে রীতিমতো একটা মাইলস্টোন হিসেবে উপহার দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ভোটদাতাদের কাছে। এবার সেই মাইলস্টোনকেই পাথেয় করে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপ-নির্বাচনকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ করার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রথমে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠালেও বুধবার আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যে শেষ হয়েছে দশম পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাকে ঘিরে গোটা রাজ্যের যে হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে, যা গোটা দেশবাসীর কাছেই ধরা পড়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে- সাগরদিঘির মতই ধূপগুড়িতেও একই পদ্ধতিতে আসন্ন উপ-নির্বাচনকে পরিচালনা করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন চর্চা। যদিও এবার ধূপগুড়ির উপনির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন একই রকম ভূমিকা পালন করতে পারে সাগরদিঘির মতো তাহলে রাজ্যবাসীর কাছে নির্বাচন সত্যিই একটা মাইলফলক হিসেবেই থাকবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখে রীতিমতো ঝামা ঘষে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা সাগরদিঘির উপনির্বাচন সকলের কাছেই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ছিল না কোনও হিংসা, হানাহানি, মারপিট, বোমাবাজি থেকে শুরু করে মৃত্যু মিছিল পর্যন্ত। মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের ভোটাধিকারকে প্রয়োগ করে শান্তিতেই বাড়ি ফিরে এসেছেন এবং তার ফল ভোগ করতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন রীতিমতো রাজ্যবাসীর কাছে এক নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সকলেই মনে করছেন- আসন্ন ধূপগুড়ির উপনির্বাচন সাগরদিঘিকে ছাপিয়ে গিয়ে আরেক নতুন মাইলস্টোন তৈরি করবে। আর মানুষ যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিশ্চিন্তে নিজের ভোটাধিকারকে প্রয়োগ করে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন শান্তিপূর্ণভাবে, তাহলে তার ফল যে কি হবে তা এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার বিষয়- আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপ-নির্বাচনে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কতটা ছাপ ফেলতে পারে রাজ্যবাসীর কাছে। পঞ্চায়েত ভোটের জ্বালা মেটাতে মানুষ যদি মিথ্যাচারকে এড়িয়ে গিয়ে ভোট বাক্সে নিজের ভোটদান করতে পারে তাহলে রীতিমতো আবারও একটা বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক হানাহানির মধ্যে না গিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে রীতিমতো তৎপর হয়ে উঠেছে প্রথম থেকেই। কার ভাগ্যে যে শিকে ছেঁড়ে, সেটাই এখন দেখার।

কলকাতা ও ধূপগুড়ি থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close