Kolkata: কালিম্পং-এর বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে ৪দিনের সময়সীমা বাঁধলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

আরও পড়ুন

কলকাতার পর কালিম্পং -এ আরও একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কালিম্পং পুরসভাকে পাঁচ দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর নির্দেশ, আগামী ২২ অগস্টের মধ্যে ওই বেআইনি নির্মাণ না ভাঙলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে পুরসভার বিরুদ্ধে।
পুরসভা চাইলে ওই নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে। এর আগে কলকাতার একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেও বুলডোজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।


কালিম্পং পুরসভার অনুমতি না নিয়ে বেআইনিভাবে একটি নির্মাণ করা হয়েছে, অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেন বীরবাহাদুর বলন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর বক্তব্য, পাহাড়ি এলাকায় এই ধরণের নির্মাণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। ওই নির্মাণের উপরের অংশে একটি স্কুলও রয়েছে। গত সোমবার ওই নির্মাণটি রাত ১২টার মধ্যে ভাঙার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, বিচারপতির পরামর্শ, ভাঙার সুবিধার্থে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে পুরসভা।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও বেআইনি নির্মাণটি সম্পূর্ন ভাঙা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ফের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী।


এর পরে কেনও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি তা জানতে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে তলব করে আদালত। হাই কোর্ট জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই অফিসারকে সশরীরে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে কেনও কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। বৃহস্পতিবার কালিম্পং পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে কিছু অংশ বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছিল মনে করা হয়। পরে দেখা যায় পাহাড়ের কোলে ওই ভবনটি সম্পূর্ন বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পুরসভার অতিরিক্ত সময় লাগবে। কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় দেওয়া হোক। এই আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি জানান, আগামী ২২ অগস্ট বিকেল ৪টের মধ্যে ওই ভবনটি ভাঙতে হবে। পরের দিন তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। নইলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করবে আদালত।

কলকাতা হাইকোর্ট ঘুরে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close