এ যেনও কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে। দুষ্কৃতীকে ধরে আস্ত একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতার স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স (এসটিএফ)। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার একটি বাড়ির নীচে ওই অস্ত্র কারখানা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র-সহ অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করেছে। অস্ত্র কারখানার মাথাদের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড় এলাকা থেকে কার্বাইন-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাদের মধ্যে মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে আব্বুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জামতাড়ার ওই গোপন অস্ত্র কারখানার হদিস পাওয়া গিয়েছে। তিনি বিহারের বাসিন্দা। পুলিশি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা শাহজাহান খানের বাড়ির নীচে একটি গুদামে অস্ত্র তৈরি করা হত। জামতাড়া জেলার মিহিজাম এলাকায় এই অস্ত্র কারখানার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৭টি অর্ধসমাপ্ত পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও কার্বাইন, পিস্তল ও অন্যান্য অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল, যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইমতিয়াজ ছাড়াও বৃহস্পতিবার সিঁথির মোড় এলাকা থেকে তার ছেলে বছর উনিশের মহম্মদ সাহিল মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা বছর চব্বিশের ইন্দ্রজিৎ শর্মা এবং কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা পঁয়ত্রিশ বছরের ভিকি প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানা যায়, সদ্য বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ইমতিয়াজ এবং সাহিল। ধৃতদের থেকে একটি উন্নত মানের কার্বাইন, সঙ্গে দু’টি ম্যাগাজিন, ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছিল। ধৃতদের গ্রেফতারের পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান এদের পেছনে বড় একটি চক্র কাজ করছে।
ব্যুরো নিউজ, কলকাতা ও ঝাড়খন্ড।