Kolkata : মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠর টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে হানা ইডির

আরও পড়ুন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডির পাশাপাশি সরব বিরোধীরাও। কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠর মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে হানা ইডির। গত দু’ মাস আগে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারটি ৷ সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রেনিং সেন্টারের নাম লেখা যাবতীয় বোর্ডও৷ ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেই মহিষবাথানের এই টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের হদিশ মিলেছে৷ যে সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিল, তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত লেনদেন এই অফিসেই হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইডির আধিকারিকদের৷ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপরতা শুরু হতেই কেনও এই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হল, তা নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সকাল আটটা নাগাদ ওই ট্রেনিং সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা৷ যদিও প্রথমে অফিসের চাবি না পাওয়ায় অফিসে ঢুকতে পারেননি তারা। বাড়ির মালিকের কাছেও চাবি ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত একজন চাবিওয়ালাকে ডেকে নিয়ে এসে শাটারের তালা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা৷ অফিসের ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে বাজেয়াপ্তও করেন ইডি আধিকারিকরা৷ বেশ কয়েকটি ফর্ম, ছবি, স্ট্যাম্প-সহ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছেন ইডি কর্তারা৷ অফিসের ভিতরে থাকা আলমারিতে থাকা ফাইল খুলেও দেখেন তারা৷ কে বা কারা এই অফিস ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিল, তার খোঁজ চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা৷ বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, পাঁচ মাস ধরে ভাডা়ও পাননি তিনি। অফিসে থাকা সিসিটিভি-র ফুটেজও উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন ইডি কর্তারা৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জোর বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

ফোর্টিন টাইমলাইন, কলকাতা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close