Kolkata : মির্চি সফরের পথে হাঁটা শেষ হ’ল মীরের

আরও পড়ুন

রবিবার মানেই ছুটির দিন। আর সেই ছুটির দিনের দুপুরের সঙ্গী মীরের গলার ‘সানডে সাস্পেন্স’-এর গল্প। চলতি মাসের প্রথম রবিবারে শেষবারের মতন শোনা গেল মীরের গলায় ‘সানডে সাসপেন্স’। এটা ঠিক যে এখন থেকে প্রতি রবিবারে নির্দিষ্ট সময়েই আসবে ‘সানডে সাস্পেন্স’। কিন্তু, শোনা যাবে না ‘গল্প পাঠে আমি মীর’ এই লাইনটি। চলতি মাসের প্রথম দিন নিজের অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে মির্চি ছাড়ার কথা জানান। স্বভাবতই যার জেরে মন খারাপ হয় তাঁর অনুগামী-সহ ‘সানডে সাসপেন্স’-এর শ্রোতাদের।

এতদিন সকালের এক কাপ চায়ের সঙ্গে রেডিও মির্চি মানেই ছিল মীর। প্রায় ২৮ বছর ধরে রেডিওতে মীরের আওয়াজে শুভ সকালের সূচনা হত সকল শ্রোতাদের। গত শুক্রবার তাঁর সঙ্গে মির্চির বিচ্ছেদের কথা স্বয়ং অনুরাগীদের জানান তিনি। এই খবর চাউর হতেই নেট দুনিয়ায় মির্চি প্রেমীদের মন বিষাদে ভরে ওঠে। আজ, রবিবার ‘সানডে সাস্পেন্সে’ লেখক এডগার অ্যালেন পো-এর লেখা ‘দ্য টেল-টেল হার্ট’-এ শেষবারের মতন শোনা গেল মীরকে। চলতি মাসের দ্বিতীয় রবিবার থেকে মির্চিতে মীরের গলায় আর ‘সানডে সাসপেন্স’ আসবে না তা জেনে আজকে এই শো শোনার পর অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন।

১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট প্রথম রেডিও চ্যানেলে যোগ দেন মীর। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে মির্চির অংশ ছিলেন তিনি। আজ মীরের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে শেষ হল মির্চি যাত্রা। শ্রোতাদের সঙ্গে মন খারাপ মীরেরও। তিনি আবেগী হয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বলেন, “আমায় শোনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। তবে মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়। গল্পের পরের অংশ ব্রেকের পর।”

সোমবার থেকে সকালম্যান ছাড়া শুনতে হবে মির্চি। মীর বিহীন মির্চির কথা তাঁর অনুরাগীরা কেউ বিশ্বাসী করতে পারছেন না।

ফোর্টিন ওয়েবডেস্ক, কলকাতা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close