খুনের কথা জানিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেন গোবর্ধন শেঠ নামের এক ব্যক্তি। রেললাইনে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। প্রেমিকা শান্তি সিং এর আত্মীয়া মুন্নি সিংকে ফোন করে গোবর্ধন শেঠ জানান, শান্তি সিংকে খুন করা হয়েছে। দেহ গড়ফার শরতবস কলোনীর বাড়িতে রয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন শান্তি সিং-এর আত্মীয়স্বজন ওই কলোনীতে। এসে তারা দেখেন, শান্তি সিং এর মৃতদেহ রক্তাপ্লুত অবস্থায় পড়ে আছে। পরিবার সূত্রে খবর- শান্তি সিং (৪৫) এর বাড়ি বেলেঘাটায়। পরক্ষণেই ফোন করা হলে গোবর্ধন শেঠকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ক্ষণিক বাদে রেলপুলিশ ফোন ধরে জানান এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, উনি গোবর্ধন শেঠকে কি না তা সনাক্ত করার জন্য। সনাক্ত করার পরই জানা যায়, তিনিই ছিলেন গোবর্ধন শেঠ। এমন খবরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। গোবর্ধন শেঠ পেশায় বাস চালক ছিলেন। এ বিষয়ে গোবর্ধনের-ই এক প্রতিবেশী বলেন- ওই মহিলা মাঝে মধ্যেই আসতেন। রাঁন্না করে দিয়ে চলেও যেতেন। আজকের কোনও আওয়াজ তারা শুনতে পাননি । গোবর্ধন শেঠ বিবাহিত। ওই মহিলাটি আসতেন- চলেও যেতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গড়ফা থানার পুলিশ। শান্তি সিংয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কি কারনে তাকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে লালবাজার হোমিসাইড বিভাগও পৌঁছয়। এবিষয়ে এস এস ডি ডি সি অভধেশ পাঠক জানান- এই বাড়িতে গোবর্ধন শেঠ ওরফে বাবুলাল থাকতেন। শান্তি সিং নামে ওই মহিলার সঙ্গে বিগত ৭ থেকে ৮ বছর যাবত সম্পর্ক ছিল তার। শান্তি সিংয়ের বাড়ি বেলেঘাটাতে। মঙ্গলবার শান্তি সিং গোবর্ধনের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। গোবর্ধন শান্তি সিং-এর বোন মুন্নি সিং-কে ফোন করে বলেন, আমি তোমার বোনকে মেরে দিয়েছি, আমি বাড়ি থেকে বার হচ্ছি। তারপরই গোবর্ধন নিজের মোবাইল ফোনটির ‘সুইচ অফ ‘ করে দেন। পাশাপাশি ঢাকুরিয়া এবং বালিগঞ্জ স্টেশন এর মাঝখানে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ফোর্টিন টাইমলাইন, গড়ফা, কলকাতা