রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে মিলল স্কচ পুরস্কার। তন্তুজের মাধ্যমে তাঁত ও বস্ত্র শিল্পের প্রসারে রাজ্যের কাজের জন্য ” স্টার অফ গভর্নেন্স- স্কচ অ্যাওয়ার্ড ইন হ্যান্ডলুম অ্যান্ড টেক্সটাইলস” বিভাগে এবার এ’ল পুরস্কার। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের জন্যও পুরস্কার এসেছে রাজ্য সরকারের ঘরে। সর্বভারতীয় আর্থিক বিষয়ক সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস গোষ্ঠীর কাছ থেকে ওই প্রকল্পের জন্য ২০২৩ সালের গভর্নমেন্ট ডিজিটেক পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য।
রাজ্য সরকারের হাত ধরে লাভের মুখ দেখছেন রাজ্যের তাঁত শিল্পীরা। বাম জমানার রুগ্ন সরকারি তাঁত শিল্পী সমবায় তন্তুজ আজ স্বাবলম্বী। এইসময় ঋণে ডুবে থাকা ওই সংস্হা এখন লাভজনক। মাথার ওপর নেই কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ। সরকারের কাছে হাত পেতে অর্থ সাহায্যও নিতে হচ্ছে না। এমনকি চলতি বছরের শেষে নিট মুনাফা থেকে তন্তুজ রাজ্য সরকারকে ডিভিডেন্ট দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তন্তুজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক স্বপন দেবনাথ। শুধু, ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভজনক হয়ে ওঠাই নয়, তাঁত শিল্পীদের উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার স্বীকৃতিতে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে তন্তুজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি দুটি স্কচ পুরস্কার রয়েছে। যার একটি মিলেছে অতি সম্প্রতি স্কুলের বাচ্চাদের ইউনিফর্ম সরবরাহের প্রকল্পের জন্য।এবার আরও একটি মিলল ইজ অফ ডুইং বিজনেস বিভাগে।
বাম আমলের শেষ আর্থিক বছর ২০১০-১১ তে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাৎসরিক লোকসান ছিল ১৪৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০২১ ২২ আর্থিক বছরের সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৪৮ দশমিক পাঁচ কোটি টাকা, যার মধ্যে নেট মুনাফা ১৯.৫ কোটি টাকা।
কলকাতার সল্টলেক-এর তন্তুজা ভবন ঘুরে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।