সরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবার মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা ঠিক মতো পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা স্বাস্থ্য দফতর এবার কেন্দ্রীয়ভাবে তার ওপর নজরদারি চালাবে।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলার হাসপাতালগুলির উদ্দেশে এক নির্দেশিকা জারি করেছে। কোনওরকম ঢিলেমি না করে আজ, বুধবার থেকেই এই আদেশ
কার্যকরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে- সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বাধ্যতামূলকভাবে খুলতে হবে।নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবনে সেকথা জানাতে হবে । আউটডোরে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি সংক্রান্ত তালিকাও ওই সময়েই এসএমএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে বলা হয়েছে । স্বাস্থ্য ভবনে এই রিপোর্ট পাঠানোর জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্টও স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাবেন।হাসপাতাল সুপারের পাশাপাশি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকা কেউ মানতে না চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। অর্থাৎ কড়া শাস্তির ইঙ্গিত স্পষ্ট করা হয়েছে।
বিগত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। বৃহত্তর স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও চালু করা হয়।
তারপরও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিষেবা নিয়ে রোগীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত, আউটডোরের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে। সম্প্রতি এব্যাপারে জেলা ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে সাস্থ্য দফতরও জানতে পেরেছে যে অনেকক্ষেত্রেই রোগীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।
বিশেষত, বহু সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত আউটডোর খোলা হয় না বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় আউটডোর চালু থাকলেও চিকিৎসক আসেন দেরি করে। এদিকে রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে যাওয়ায় অনেকেই তাড়াহুড়ো করে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা