গত ৯আগষ্ট রাতে শুধু মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনই টার্গেট নয়, মৃত ছাত্রকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা,, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসে পৌঁছেছে পুলিশের কাছে ।
ডাইরির ভিতরে থাকা সেই চিঠি থেকে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ।
• যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত সেই পড়ুয়া যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তখন ঘর পাচ্ছিল না, তখন সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষের ৬৮ নম্বর রুমে মৃত ওই পড়ুয়াকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। বাংলা বিভাগের একজন পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের পড়ুয়াদের সঙ্গে থাকতে শুরু করল। যার ফলে তখন থেকেই শুরু হল পরিকল্পনা। অর্থাৎ মৃত ওই পড়ুয়াকে গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকার ব্যাবস্থা করার পরই ছক কষে নেয় অভিযুক্তরা।
সেই পরিকল্পনাটি ছিল এমন:- বাংলা বিভাগে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। তাদের সেখানে কোনও প্রভাবই ছিল না। ফলে এদের যেহেতু প্রভাব নেই, সেই প্রভাব তাকে ভাঙার জন্য মরিয়া ছিল সৌরভ চৌধুরীর মতো বাকি অভিযুক্তরা। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে যারা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যার ফলেই এখান থেকেই পরিকল্পনার শুরু। বাংলা বিভাগের ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে তারা ডিনের উদ্দেশে একটা চিঠি লেখাতে চাইল মৃত পড়ুয়াকে। পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকরা জেনেছেন- মূল ঘটনার সূত্রপাত সেই ৯ আগস্টই রাতের বেলায় ছিল।
সেদিন রাতে ১০৪ নম্বর রুমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে বাংলা বিভাগের ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে -ওই ছাত্র নেতা চাপ দিচ্ছে – এরকম একটি বয়ান ওই পড়ুয়াকে দিয়ে ডিনের কাছে লেখানো হচ্ছিল। কিন্তু এই ছাত্র কোনোভাবেই এই চিঠি লিখতে চাইছিলেন না। যার ফলে (সৌরভ চৌধুরীর, সপ্তক ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বয়ান অনুযায়ী
ধৃত দীপশেখরই সেই চিঠি লেখে। তারপর মৃত ওই পড়ুয়াকে দিয়ে এই চিঠিতে সই করানো হয়। যদিও পুলিশ অনুমান করছে এই সই তাকে চাপ দিয়ে করানো হয়েছে, তবে এখনও তদন্ত চলছে এই বিষয়টি তদন্তকারী আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন, সেদিন এই পড়ুয়া নিজে থেকে সই করেছিল নাকি তাকে চাপ দিয়ে সই করানো হয়েছিল।
তবে তদন্তের শিখর যে অনেক গভীরে তা একরকম স্পষ্ট।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।