Kolkata: বাণিজ্যিক যানবাহনে ভিএলটিডি লাগানোর সীমা ২৯ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল রাজ্য

আরও পড়ুন

বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি লাগানোর ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা বাড়ানো হল। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভিএলটিডি ছাড়া গাড়ি সংশ্লিষ্ট আরটিও অফিসে সিএফ, পারমিট-সহ যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র পেতে পারবে বলে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে। এর আগে পরিবহণ দফতর জানিয়েছিল- ওই যন্ত্র না বসালে গাড়িকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বা পারমিট দেওয়া হবে না। অপরাধ রুখতে ও নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমস্ত বাণিজ্যিক গাড়িতে ওই অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গেছে, সমস্ত ধরনের গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে ১ জানুয়ারি থেকে ওয়েভার স্কিম চালু করেছে পরিবহণ দফতর। সরকারি এই ছাড়ের আওতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ির মালিকদের আনার লক্ষ্যেই ভিএলটিডি নিয়ে নমনীয় মনোভাব নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, গাড়ি মালিকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি ছাডা় ওই যন্ত্র লাগিয়ে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাজারে যেসব যন্ত্র মিলছে তার অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ।

পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের বক্তব্য, বহু গাড়ির মালিক এই কর ছাড়ের সুবিধা নিতে আগ্রহী। কিন্তু সিএফ করাতে গেলে গাড়ি আরটিও অফিসে নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিএলটিডি না-থাকায় তা আটকে যাচ্ছে। স্বভাবতই সিএফ খাতে সরকারের পাওনা টাকা জমা করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বকেয়া হাজার হাজার টাকার কর মেটানো জন্য মালিকরা তৈরি থাকলেও ভিএলটিডি লাগানোর বাড়তি খরচের বোঝা অনেকেই নিতে চাইছেন না। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকে এই সরকারি ছাড়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছিলেন। এই জটিলতা কাটাতে পরিবহণ দপ্তর এই যন্ত্র বসানোর কড়াকড়ি থেকে সরে এল। সরকারের এমন ‘নমনীয়’ মনোভাবের মেয়াদ অবশ্য ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close