চায়ের রফতানি বানিজ্যে গতি আনতে রাজ্য সরকার কলকাতাতে একটি চা প্রক্রিয়াকরণ হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। এজন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ থেকে ১২ একর জমি চাওয়া হয়েছে। শিল্পসচিব বন্দনা যাদব জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে প্যাকেটজাত চা কলকাতা থেকে অন্যত্র পাঠানোর আগে তার মান পরীক্ষা করা হয় । চায়ের মান পরীক্ষার সময় প্যাকেট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারনে রাজ্য সরকার চাইছে কলকাতাতেই একটি প্রক্রিয়াকরণ হাব তৈরি করতে। উত্তরবঙ্গে থেকে আসা চা পাতা সেখানে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। এদিকে রাজ্যে উৎপাদিত চায়ের একটা বড় পরিমাণ দুবাইতে ব্লেন্ডিং করা হয়। তার পর তা অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়। সরকার চাইছে এখানেই ব্লেন্ড করে তা বিদেশে রফতানি করা হোক। বড় সংস্থাগুলির নিজস্ব ব্লেন্ডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু, ছোট বাগানের মালিকদের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। তাই তাদের পক্ষেও বিষয়টি সুবিধাজনক হবে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই হাব গড়ে তোলা হবে। এর পাশাপাশি বলাগড়ে একটি লজিস্টিক হাবও গড়ে তোলা হবে। এই দুটি হাব গড়ে তোলা হলে রাজ্যের যেমন আয় বাড়বে। ঠিক তেমনি আয় বাড়বে বন্দর কর্তৃপক্ষেরও। লজিস্টিকস হাবের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলাগড়ে কলকাতা পোর্ট গেটওয়ের কাছে প্রস্তাবিত হাবটি গড়ে তোলা হবে। এই হাবের জন্য মোট লগ্নির পরিমাণ ৪৩৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রথম দফায় বিনিয়োগ করা হবে ১০০ কোটি টাকা। এই হাব তৈরির জন্য সব মিলিয়ে ৯০০ একর জমি প্রয়োজন। যার মধ্যে ৩০০ একর বন্দরের জমি। এছাড়া সিইএসসি ও রাজ্যের ৩০০ একর করে জমি রয়েছে।
প্রস্তাবিত এই দুটি হাব প্রসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন জানান, চা প্রসেসিং হাবের প্রস্তাবটি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। বলগড়ের প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিপিআর বা ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার অর্থ মিললেই কাজ শুরু হবে। বিশ্লেষ শব্দের অনুমান এমন হাব তৈরি হলে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক চিত্রই বদলে যাবে।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।