আগামীকাল একুশে নভেম্বর কলকাতায় দু’দিনের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এবছর এই সম্মেলনে ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। থাকবেন বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি রাও। সব থেকে বড় প্রতিনিধি দল আসবে ব্রিটেন থেকে। এবারে ব্রিটেন থেকে আসছেন ৫৫ জন প্রতিনিধি এবং স্পেন থেকে ৮ জন। এছাড়াও দেশি-বিদেশি বহু শিল্পপতি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বলে শিল্প দফতর সূত্রে জানা গেছে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়াররম্যান মুকেশ আম্বানি, হিরানন্দানি গ্রুপের কর্ণধার নিরঞ্জন হিরানন্দানি, আইটিসি’র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী, জেএসডব্লিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল, আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, চ্যাটার্জি গ্রুপের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়-সহ দেশের প্রথম সারির ৩৫জন শিল্পপতি উদ্বোধনী মঞ্চ অলংকৃত করবেন। ইউরোপ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও একঝাঁক শিল্পপতি বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন। আদানি গোষ্ঠীকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে রাজারহাটের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। দুপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন বুধবার বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য গঙ্গা ভ্রমণের পাশাপাশি আলিপুর জেল মিউজিয়াম ঘুরিয়ে দেখানো হবে। বাণিজ্য সম্মেলনে আগত দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের সামনে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন ক্ষেত্রকে তুলে ধরা হবে। রাজ্যের প্রস্তাবিত পুরুলিয়ায় ৪ হাজার একরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী, ডানকুনি-হলদিয়া, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-রঘুনাথপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ করিডর এবং নিউ টাউনে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব-এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে উৎসবের কলকাতার রাজপথ নতুন করে সেজে উঠছে। রাস্তার ডিভাইডারগুলিতে রঙ করার কাজ চলছে, খারাপ হয়ে যাওয়া রাস্তা মেরামতের কাজও চলছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। অতিথিদের স্বাগত জানাতে বিশেষ পোস্টারও লাগানো হচ্ছে। আলোক স্তম্ভগুলিকে নীল-সাদা আলোতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।