জলপাইগুড়ি থেকে অসমগামী লরির উপর দড়ি বাঁধা অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হ’ল ।শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আলুবোঝাই করে ময়নাগুড়ির অসম মোড়ের একটি পেট্রোল পাম্প লাগোয়া ওজন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ছিল বারো চাকার লরিটি।নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা পাম্পের শৌচাগারে আসেন।ওই সময়ে তিনি দেখতে পান, লরির উপরে কেউ শুয়ে রয়েছেন।পা বাইরের দিকে ঝুলছে।সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পাম্পের কর্মীদের খবর দেন তিনি।পরে অন্য একটি লরির উপর উঠে তারা দেখতে পান, আলুর বস্তার সঙ্গেই মুখ ঢাকা অবস্থায় একজনের দেহ বাঁধা রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে, পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করার সময় দেখতে পায়, লরির ভিতরেই ঘুমিয়ে রয়েছে চালক এবং খালাসি।চালক ও সহকারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । তারা জানায়, ওজন করানোর জন্য অসম মোড়ের ওই কেন্দ্রে ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ পৌঁছয় ওই লরিটি । তখন ওজন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় চালক সেটি সেখানেই দাঁড় করিয়ে রাখেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করেই দেহ আলু বোঝাই লরিটির ওপর বেঁধে রাখা হয়েছিল। দেহের বুক, মাথা-সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মালবাজারের কাঠামবাড়ি থেকে এক প্রস্ত আলু বোঝাই করার পরে লরি দাঁড়িয়েছিল ক্রান্তির গঙ্গাদেবী চৌরঙ্গি এলাকায়। সেখানেও আলুর বস্তা ওঠে। সে ক্ষেত্রে চালক ও খালাসির অগোচরে কী ভাবে দেহটি লরি তোলা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশি সূত্রের দাবি, নিহতের বয়স বছর পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ। যে দু’টি এলাকা থেকে লরিটিতে আলু বোঝাই করা হয়েছিল, পুলিশ সে সব জায়গাতে গিয়েও তদন্ত করে দেখছে। পুলিশের অনুমান -সঠিকভাবে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, জলপাইগুড়ি।