Malda : যুবতীকে ধর্ষণের পর গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ধর্ষকের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন

রাস্তা থেকে জোরপূর্বক যুবতীকে বাড়িতে এনে ধর্ষণ করল এক যুবক। ধর্ষণের শিকার বছর বাইশের মানসিক ভারসাম্যহীনা যুবতী। ধর্ষণের ফলে দু’মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি চাপা দিতে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ধর্ষকের পরিবারের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে।

পরিবারের অভিযোগ,যুবতীটি মানুষিক ভারসাম্যহীনা। বাগানর মধ্যে নির্জন রাস্তা দিয়ে যাছিলেন তিনি । সেই সময় তজিবুর রহমান নামে এক যুবক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর যুবতীর পরিবারের অজান্তেই ধর্ষকের স্ত্রী ও আত্মীয়রা হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যান। অভিযুক্তরা বাড়িতে ডেকে নিয়ম মেনে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায়। গর্ভপাত হওয়ার আগেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে ওই মানসিক ভারসাম্যহীনা যুবতীর। তারপরই নজরে আসে পরিবারের সদস্যদের। এরপরই সমস্ত ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। মেয়ের ইঙ্গিত ও কথায় পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন,এলাকারই তজিবুর রহমান তার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বলপূর্বক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে ওই যুবতীকে বলে অভিযোগ। এমনকি তজিবুর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তার এই কু-কর্ম কাউকে না বলার জন্য ওই যুবতীকে বারবার চাপ দিচ্ছিল তজিবুর। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত তজিবুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটির পরিবার ঘটনা জানতে পেরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তজিবুর -সহ তার স্ত্রী ও বৌদির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের ১০দিন পার হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা।পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা ও মামা গোটা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।

উল্লেখ্য,হরিশ্চন্দ্রপুর ধর্ষণকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন সুদেষ্ণা রায়। তিনি বলেন, দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সমাজে এ’ধরনের কু-কীর্তি রোধ করা সম্ভব।

এবিষয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন , মালদা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close