সাপ মানেই ভয়ঙ্কর প্রাণী। আর সেই সাপকেই খপাৎ করেই ধরে ফেলল ধরল এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানার মঙ্গলবাড়ির বাচামারি পালপাড়া এলাকায়। তার এই অদম্য সাহস দেখে হতবাক বাসিন্দারা। সাপটিকে ধরে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর ,ওই কিশোরীর নাম নিশা হালদার। সে স্থানীয় স্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করেন। বাবা নিতাই হালদার সর্পপ্রেমী। পাশাপাশি ছোটোখাটো কাজও করেন। জানা গিয়েছে ,মঙ্গলবাড়ি এলাকায় আনন্দ পালের বাড়ির পিছনে একটি বিষাক্ত সাপ ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় সর্বাতঙ্ক বৃদ্ধি পায়। স্থানীয়রা খবর দেয় সর্বপ্রেমী নিতাই হালদারকে। কিন্তু নিতাই হালদার বিশেষ কাজে বাইরে থাকায় আসতে পারেননি। স্থানীয়রা আতঙ্কে সাপের ক্ষতি করতে পারে ভেবে ওই সাপটিকে উদ্ধার করতে পাঠায় তার মেয়ে নিশা হালদারকে। তড়িঘড়ি খবর পেয়ে ওই কিশোরী ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘক্ষণ জঙ্গলে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে বিষাক্ত অনন্ত যৌবনা চন্দ্রবোড়া সাপটিকে উদ্ধার করে।নিশা হালদারের সাপ ধরার সাহস দেখে অবাক এলাকাবাসীরা।
উল্লেখ্য, উদ্ধারের পর কিশোরী নিশা হালদার জানায়,বর্ষার সময় সাপেরা ডিম পাড়ে এবং এটাই তাদের বংশ বিস্তারের সময়। তাই বেশির ভাগ সময় এই সাপগুলি বাইরেই থাকে। উদ্ধার হওয়া এই সাপের দাঁতে বিষ রয়েছে। যদিও চন্দ্রবোড়া ডিম দেয় না সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে।পাশাপাশি সমাজকে সাপ না মারার পরামর্শ দেয় এদিন নাবালিকা।
মালদার মঙ্গলবাড়ি থেকে দেবাশীষ দাসের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।