মুক ও বধির নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণের অভিযোগ ফুটেছে একটি তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের ভাই ও কয়েকজন সঙ্গীর বিরুদ্ধে।অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। মালদার মোথাবাড়ি থানার পঞ্চানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। আরেক অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। দল কোনোভাবেই অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াবে না। সেইসঙ্গে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়াও দাবি করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর ,মুক ও বধির নাবালিকা চলতি মাসের ২২তারিখ তার কাকার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে ফাঁকা আম বাগানের মধ্যে থেকে মাসুম-সহ বেশ কয়েকজন ওই নাবালিকাকে মুখে গামছা দিয়ে চেপে তুলে নিয়ে যায় হাঁকি মাস্টারের ফাঁকা বাড়িতে। সেখানে তাকে মাসুম-সহ বেশ কয়েকজন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওই নাবালিকার। সেখান থেকে কোনও রকমে কাঁদতে কাঁদতে নাবলিকা পালিয়ে বাড়ি চলে আসে। মেয়ের এমন উস্কো খুস্কো ছবি দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সমস্ত ঘটনা আকার ইঙ্গিতে বলে দেয় নির্বাক মেয়েটি। এরপরই পরিবারের সদস্যরা মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেফতার করেছে। বাঁকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে খুন, ধর্ষণে যুক্ত হয়ে পড়ছে সে ভাবার বিষয়। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কি বলছেন! তিনি প্রতিটি মিটিং-এ অনেক বড়বড় কথা বলেন। প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদপে মনে হচ্ছে সেগুলি ভুয়ো নির্দেশ। তার কথা কেউ শুনছে না। তার পার্টির লোক বিষয়টিতে মান্যতা দেওয়ার জায়গায় নেই। তাই ধর্ষণ, দুর্নীতি হয়েই চলেছে।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন,দল কোনোভাবেই অভিযুক্তদের পাশে থাকবে না যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
তবে একজন মুক ও বধির মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা যে নিন্দনীয় তা বলাই বাহুল্য।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।