শনিবারের বিকেল : 12 Aug, 2023

আরও পড়ুন

এবছর ৭৬ তম বর্ষে পদার্পন ভারতের স্বাধীনতা দিবসের

স্বাধীনতা দিবস ভারতবাসীর কাছে এক আবেগের দিন। নিজেদের দেশকে স্বাধীন দেখার জন্য কত জনকেই না নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করতে হয়েছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১৯২৯ সালের অধিবেশনে, পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণা বা “ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা” জারি করা হয়েছিল, এবং ২৬ জানুয়ারী ১৯৩০ সালে স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কংগ্রেস জনগণকে আহ্বান জানায় ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা না পাওয়া পর্যন্ত নাগরিক অবাধ্যতা এবং “সময় সময় জারি করা কংগ্রেসের নির্দেশাবলী পালন করার” প্রতিশ্রুতি দেয় । এই জাতীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা জাগিয়ে তোলার জন্য এবং ব্রিটিশ সরকারকে স্বাধীনতা প্রদানের কথা বিবেচনা করতে বাধ্য করার জন্য কল্পনা করা হয়েছিল। কংগ্রেস ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সালের মধ্যে ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৪৭ সালে প্রকৃত স্বাধীনতার পর ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়; সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়।

স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী দিল্লির লাল কেল্লার ঐতিহাসিক স্থানের প্রাচীরে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী গত বছরের অর্জনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরেন এবং আরও উন্নয়ণের আহ্বান জানান। প্যারেড এবং পেজেন্টগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামের দৃশ্য এবং ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। অনুরূপ ঘটনাগুলি রাজ্যের রাজধানীগুলিতে সংঘটিত হয় যেখানে পৃথক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, তারপরে প্যারেড এবং প্রতিযোগিতা হয়। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের গভর্নর রাজ্যের রাজধানীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. করুণানিধি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।প্রধানমন্ত্রীর মতো মুখ্যমন্ত্রীদেরও স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া উচিত। ১৯৭৪ সাল থেকে, নিজ নিজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিন সারাদেশজুড়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্কুল ও কলেজ পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি কাগজ দিয়ে তাদের প্রাঙ্গণ সাজায়, দেওয়ালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে বেলুন দিয়ে সাজায় এবং প্রধান সরকারি ভবনগুলি প্রায়শই আলোর স্ট্রিং দিয়ে সজ্জিত করা হয়। দিল্লি এবং অন্যান্য কিছু শহরে, ঘুড়ি ওড়ানো এই উপলক্ষকে আরও বাড়িয়ে তোলে। দেশের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।

মায়ের কারনেই টমাস আলভা এডিসন পৃথিবীর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক হতে পারেন

এডিসন পড়াশোনাতে বেশ দুর্বল ছিলেন। পরীক্ষায় খাতায় তেমন ভালো করতে পারেননি। ফলে তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘চিঠিটা যেনো খোলা না হয়। সোজা মায়ের হাতে দেওয়া হয়।

এডিসন মায়ের হাতে চিঠি দিলেন এবং চিঠিতে কি লেখা কৌতুহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন।

তার মা আওয়াজ করে এডিসনকে শুনিয়ে বললেন, ‘আপনার পুত্র খুব মেধাবী, এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোটো এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।’

তারপর থেকে তিনি মায়ের কাছেই শিক্ষা নেওয়া শুরু করলেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হবার পর টমাস আলভা এডিসন হয়ে উঠেন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী, শিল্পপতি এবং মার্কেটিং জগতে সফল উদ্যোক্তা। কিন্তু তাঁর মা সেসময় বেঁচে ছিলেন না। হঠাৎ একদিন পুরানো কাগজ নাড়তে থাকেন। ভাঁজ করা এক কাগজের দিকে চোখ আটকে যায়। চিঠিটি খুলে দেখেন সেই পুরানো স্কুলের চিঠি। আবেগতারিত হয়ে যান। মনের ক্যানভাসে ভেসে উঠে সেসব দিনের কথা।

সেই চিঠিতে লেখা ছিল- ‘আপনার সন্তান স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন, সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়, আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না’।

তারপর এডিসনের চোখ ভিজে যায়! তাঁর মায়ের কথা ভীষণ মনে হয়। ডাইরীতে লিখে রাখলেন তখন,‘টমাস আলভা এডিসন মানসিক অসুস্থ এক শিশু ছিলেন কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দী-র সেরা প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।’

প্রতিটি ঘরে জন্ম নিক আলভা এডিশন এর মত এমন একজন করে মা। যাঁরা তাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প, কবিতা, শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই-পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক, ’শনিবারের বিকেল’times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close