শনিবারের বিকেল : 22 April, 2023

আরও পড়ুন

অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে পালন পরশুরামের আবির্ভাব দিবস

নববর্ষের সাতদিন পরই পালন করা হয় অক্ষয় তৃতীয়ার। অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। এই শুভদিনে জন্ম নিয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন। এদিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। এদিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয়। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। কেদার-বদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর যে মন্দির ছ’মাস বন্ধ থাকে এইদিনই তার দ্বার উদ্‌ঘাটন করা হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছ’মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভ যোগ হবে। সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে, এই আশাতেই এদিন মানুষ কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

সংস্কৃত ভাষায়, “অক্ষয়” (अक्षय) শব্দটি “সমৃদ্ধি, প্রত্যাশা, আনন্দ, সাফল্য”, “ত্রিত্য” অর্থ “তৃতীয়”, “অর্থে অবিস্মরণীয়, চিরস্থায়ী, সর্বদা উৎকৃষ্টতম”। হিন্দু ক্যালেন্ডারে ভাস্কাকের বসন্ত মাসের “তৃতীয় চন্দ্র দিন” এর নামকরণ করা হয়, এটি যেদিন পালন করা হয়।

এছাড়াও নববর্ষের মতো এদিনও অনেক দোকানে, বাড়িতে পুজো করা হয়। নববর্ষের মতো হালখাতার ব্যাপার এক্ষেত্রেও ঘটে থাকে। ব্যবসার জন্য হালখাতার আয়োজনও করা হয় দোকানগুলিতে।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প, কবিতা, শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই-পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক , ’শনিবারের বিকেল’times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close