শনিবারের বিকেল : 2 July, 2022

আরও পড়ুন

 বিপদতারিনী পুজোর একাল- সেকাল

বারো মাসে তেরো পার্বণ শব্দটির সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। শুক্রবারের রথযাত্রার উৎসব পেরোতে না পেরেতেই আবারও এক উৎসবে মেতে উঠেছে বাংলা। পৌরাণিক মতে আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনি ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। দেবী বিপত্তারিণী হলেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা রাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পূজিত এক হিন্দু দেবী। তিনি পুরাণে কৌশিকীদেবী নামে খ্যাত। তিনি দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম। হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতেই এই দেবীর আরাধনা করে থাকেন।

প্রথানুসারে ,আষাঢ় মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে হিন্দু মহিলারা বিপত্তারিণী ব্রত পালন করেন। পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য পরিবারের গিন্নি অর্থাৎ মা, ঠাকুরমারা করে থাকেন এই পুজো। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর “আরাধনা” (পূজা) করা হত। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপোস করেন। এমনকি হাতে “তাগা” অর্থাৎ দেবীর আশীর্বাদস্বরূপ এক গুচ্ছ পবিত্র লাল সুতো ও দূর্ব ঘাস বাধা হয় এই পুজো বাঙালির ঘরে ঘরে হয়ে থাকে।

সম্প্রতি, মল্লভূম রাজ্যের (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলা বিষ্ণুপুর, খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ১৮শ শতাব্দী পর্যন্ত এই রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল) রানির এক সখী ছিলেন নিম্নবর্ণীয় মুচির ঘরের মেয়ে। মুচিরা মাঝে মাঝে গোমাংস খেত। এই কথা শুনে রানি খুব ভয় পেয়ে যান। কারণ, হিন্দুধর্মে গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। তবে একবার কৌতূহলী হয়ে রানি গোমাংস কেমন হয় তা দেখতে চান। একদিন রানি তার সখীকে তাঁর এই ইচ্ছার কথা জানান। সখী প্রথমে দেখাতে অস্বীকার করেন। কারণ এতে ধর্মপ্রাণ রাজা রেগে যেতে পারেন বলে তাঁর ভয় হয়। কিন্তু পরে বাধ্য হয়ে তাকে রানির অনুরোধ রাখেন। কিন্তু পাছে কেউ রাজাকে এখবর জানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে রাজা রানিকে হত্যা করতে আসেন। রানি নিজের কাপড়ে তলায় গোমাংস লুকিয়ে রেখে দেবী দুর্গার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। রাজা এসে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেখতে চান ভিতরে কি আছে। তিনি দেখেন, সেখানে একটি লাল জবা ফুল রাখা আছে। সেই থেকে আজও বিপত্তারিণী পুজো পারিবারিক সঙ্কট মোচনের জন্য পূজিত হয়ে আসছে।স্থানীয় মন্দিরগুলিতে বার্ষিক বিপত্তারিণী পুজো একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

ব্রত পালনের উপকরণ 

ঘট, আম্র পল্লব, সশীষ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১৩ টি দূর্বোবাঁধা ), ১৩টি দূর্বো , ১৩টি পান ও ১৩ টি সুপারি

বিপত্তারিণীর মন্ত্র

মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ নমঃ।

অণুগল্প

গল্পের নামঃ পিঠেপুলি 
    প্রেরকঃ সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়
(রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ- সদস্য, রাইটার্স বিল্ডিং এর কৃষি দফতরের ভিজিলেন্স বিভাগে কর্মরত- সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়‘ওয়াল’ থেকে সংগৃহীত)
-পাটিসাপটা কেমন হয়েছে?তোমার প্রিয়।বললেন মৈত্রেয়ী।
দুধপুলি রাখলেন বাটিতে।
– দুধটা ঘন কম হলো।দ্যাখো তোমার পছন্দ হয় নাকি।
– আস্কে পিঠে একটাই দিলাম।তোমার অম্বল হয়।
গুড়মাখা একটা আস্কেপিঠে দিলেন থালায়।
দেবপ্রিয়র ছবিতে গোড়ে মালা।জ্বলছে ধূপ।গতবছর পৌষসংক্রান্তির দিন চলে গিয়েছেন পিঠেপ্রেমিক মানুষটি।স্বামীর মৃত্যুদিনে নানারকম পিঠে তৈরি করে ছবির সামনে রাখলেন মৈত্রেয়ী।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প , কবিতা , শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই- পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক ,’ শনিবারের বিকেল’ times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close