শনিবারের বিকেল : 24 Dec, 2022

আরও পড়ুন

করোনা আবহের মধ্যেই বড়দিন পালনের তোড়জোড় শুরু শহরজুড়ে

রাত পেরোলেই বড়দিন। খ্রিষ্টানদের বড় উৎসব হিসেবে এটিকে পালন করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে চলেছে আট থেকে আশি। প্রতিবছরই যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে ছোট-বড় সকলের মধ্যেই উত্তেজনা থাকে চোখে পড়ার মত। দিনটি খ্রিস্টানদের বড় উৎসব হওয়া সত্ত্বেও সকল শ্রেণীর মানুষ সামিল হন এই উৎসবে এবং গির্জায় গির্জায় গিয়ে প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনা করেন। গত দু’বছর করোনার কারনে সেইভাবে সবাই এই উৎসবে সামিল হতে পারেননি। কিন্তু, এবছর সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ বড়দিন আলাদা আমেজে পালন করার আশায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইংরেজি খ্রিস্টমাস (Christmas) শব্দটি “খ্রিস্টের মাস (উৎসব)” শব্দবন্ধটির যুগ্ম অর্থ থেকে এসেছে। শব্দটির ব্যুৎপত্তি ঘটে মধ্য ইংরেজি Christemasse ও আদি ইংরেজি Cristes mæsse শব্দ থেকে। শেষোক্ত শব্দটির প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় ১০৩৮ সালের একটি রচনায়। “Cristes” শব্দটি আবার গ্রিক Christos এবং “mæsse” শব্দটি লাতিন missa (পবিত্র উৎসব) শব্দ থেকে উদগত। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় Χ (চি) হল Christ বা খ্রিষ্ট শব্দের প্রথম অক্ষর। এই অক্ষরটি লাতিন অক্ষর X-এর সমরূপ। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে তাই এই অক্ষরটি খ্রিষ্ট শব্দের নামসংক্ষেপ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়।এই কারণে খ্রিষ্টমাসের নামসংক্ষেপ হিসেবে এক্সমাস কথাটি চালু হয়।

আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধানে যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব উৎসবটিকে বাংলায় বড়দিন আখ্যা দেওয়ার কারণটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে: “২৩ ডিসেম্বর থেকে দিন ক্রমশ বড়ো এবং রাত ছোটো হতে আরম্ভ করে”।

বিগত দু’বছর করোনা মহামারির কারনে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন সেভাবে পালিত হয়নি। একারনে শহরের কিছু কিছু মহাগীর্জাগুলির গেটও বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোনও ভক্তকেই এই বড়দিনে গীর্জায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবারে বড়দিন একটু অতিরিক্ত উন্মাদনায় পালন করার পরিকল্পনায় রয়েছেন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বি মানুষেরা। আচমকাই করোনা সংক্রমণের গুঞ্জন শুরু হওয়ায় তারা আতঙ্কিত। সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ না এলেও আচমকাই করোনা সংক্রমণ আবার ছড়িয়ে পড়ার কথা শোনা যাচ্ছে জনগণের মুখে মুখে। জনমানসের এই প্রভাব গীর্জা কর্তৃপক্ষগুলির কানেও এসে পৌঁছয়। সরকার শেষ মুহূর্তে এই নির্দেশ জারি করলে তাদেরকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে মাস্ক পড়েই ভক্তদের গীর্জার ভেতর প্রবেশ করার জন্য তাদের নির্দেশ জারি করতে হবে।

আগামীকাল বড়দিনকে সামনে রেখে সবার মধ্যে কেক কেনার সঙ্গে গৃহসজ্জার সামগ্রী কেনারও হিড়িক পড়েছে। সেই সঙ্গে কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্মীরা এখন তাদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে কেক তৈরিতে মেতেছেন। বিগত দু’বছর যাবৎ বড়দিনে সবাইকে ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। এবারে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ায় সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ বড়দিন আলাদা আমেজে পালন করার আশায় রয়েছেন। তাই কেকের চাহিদা কয়েকবছরের চাইতে এবারে অনেক গুন বেশী। তাও বড়দিনকে ভালোভাবে পালন করতে বিভিন্ন ঘরানারই কেক কিনেছেন ক্রেতারা।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প, কবিতা, শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই-পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক , ’শনিবারের বিকেল’times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close