শনিবারের বিকেল : 24 June, 2023

আরও পড়ুন

জানেন কি ‘অম্বুবাচী’ কেনও পালন করা হয় ?

চলতি সপ্তাহের ২২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে অম্বুবাচী। শেষ হবে ২৬ জুন। অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। এখানে সতীর অঙ্গ পড়েছিল। সারা বছর এই মন্দির খোলা থাকলেও অম্বুবাচীর সময়ে কামাখ্যা মন্দির বন্ধ থাকে। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে অম্বুবাচীর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই সময় বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। যা অম্বুবাচী মেলা নাম পরিচিত।

বৃহস্পতিবার ২২ জুন বাংলার ৬ আষাঢ়, ভোর রাত ২টো ৩২ মিনিট থেকে অম্বুবাচী শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২৬ জুন, সোমবার বাংলার ১০ আষাঢ়, দুপুর ২টো ৫৬ মিনিটে। গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। এই মন্দিরে সতীর যোনি পড়েছিল। প্রতিবছর জুন মাসে দেবী সতী রজস্বলা হন। এই সময়কালই অম্বুবাচী নামে পরিচিত। তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। পরে বিশেষ পুজোর মধ্য দিয়ে দরজা খোলা হয়। আবার এসময়ে প্রসাদ হিসেবে একটি লাল ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। দেবীর রজস্বলা হওয়ার আগে সেই স্থানে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেটি লাল রঙের হয়। এই পোশাককে অম্বুবাচী বস্ত্র বলা হয়। শাস্ত্র মতে এখানে আগত ভক্তদের ওপর দেবীর আশীর্বাদ থাকে। শ্রদ্ধা-ভক্তি-সহ সতীর পুজো করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলে খবর।

অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনও ধরনের মাংগলিক কার্য করা যায়না। চতুর্থ দিন থেকে মাঙ্গলিক কাজে কোনও বাধা থাকেনা। অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। চাষ বাসের কাজ এই সময় বন্ধ থাকে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে পিঠে-পায়েস বানানোর রীতি রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিধবা মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখেন। অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তারা তিন দিন ধরে খান। ওই তিন দিন তারা কোনও গরম খাবার খান না। এই তিন দিন কামরুপ কামাখ্যায় পুজো হয়। সমস্ত দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। কামরুপ কামাহ্মায় মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে লাল রং-এর তরল বের হয়।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প, কবিতা, শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই-পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক, ’শনিবারের বিকেল’times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close