শনিবারের বিকেল : 29 July, 2023

আরও পড়ুন

‘হেপাটাইটিস বি’ একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা যকৃৎ বা লিভারকে আক্রমণ করে। ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাস (HBV)-এর আক্রমণে এই রোগটি হয়। অনেক সময় সংক্রমণের প্রথম দিকে এর কোনও লক্ষন প্রকাশ পায় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, চামড়া হলুদ হওয়া, ক্লান্তি, পেটে ব্যাথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত এই লক্ষণগুলি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং কদাচিৎ লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার পর শেষে মৃত্যু হয়। সংক্রমণের পর রোগের লক্ষন প্রকাশ পেতে ৩০ থেকে ১৮০ দিন সময় লাগতে পারে। জন্মের সময় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের প্রায় ৯০% ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী ‘হেপাটাইটিস বি’ তে আক্রান্ত হন যেখানে ৫ বছর বয়সের পর আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ১০% এরও কম এতে আক্রান্ত হন। দীর্ঘস্থায়ী ‘হেপাটাইটিস বি’-তে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগেরই কোন প্রাথমিক লক্ষণ থাকে না। যদিও এক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে এটি সিরোসিস এবং যকৃৎ-এর ক্যান্সার এরূপ নিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী আক্রান্ত হওয়া রোগীদের প্রায় ১৫ থেকে ২৫% মৃত্যুবরণ করতে পারে।

এই ভাইরাসটি রক্ত কিংবা দেহনিঃসৃত তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ বেশি সেখানে সাধারণত শিশুর জন্মের সময় কিংবা শৈশবে অন্য আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে এ রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কিন্তু যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ কম সেখানে শিরায় মাদক দ্রব্যের ব্যবহার এবং অরক্ষিত যৌনমিলন এ রোগের প্রধান কারন। এছাড়াও রক্ত আদান-প্রদান, ডায়ালাইসিস, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস, সংক্রমণের হার বেশি এমন স্থানে ভ্রমণ প্রভৃতি মাধ্যমেও এরোগ ছড়ায়। ১৯৮০ সালের দিকে ট্যাটু এবং আকুপাংচারের মাধ্যমেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন যদিও বর্তমানে এধরনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমে এসেছে। হাত ধরা, খাবারের তৈজসপত্র শেয়ার করা, চুম্বন, কোলাকুলি করা, হাঁচি-কাশি, কিংবা মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে এরোগ ছড়ায় না। সংক্রমণের পর ৩০ থেকে ৬০ দিন পর এরোগ নির্ণয় করা যায়। সাধারণত রক্তে অবস্থিত ভাইরাস এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থিত অ্যান্টিবডি থেকে এরোগ নির্ণয় করা হয়। এটি পরিচিত পাঁচটি হেপাটাইটিস ভাইরাসের মধ্যে অন্যতম একটি A, B, C, D, এবং E।

  • এরোগ দু’ভাবে ছড়াতে পারে।

১. হস্তান্তর
২. ভাইরাস সংক্রামন

  • লক্ষণ

১. চোখ হলুদ হয়ে যায়, একে জন্ডিস বলে।
২. প্রশ্রাবের রং হলুদ হয়।
৩. পেটে ব্যথা এবং সেই সঙ্গে জ্বর হয়।
৪.ক্ষুধা মন্দা এবং বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে।
৫. মাংসপেশি এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হয়।
৬. আক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় অস্বস্তি অনুভব করেন।
৭. গায়ের চামড়ার উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়।

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নামী লেখক। ছোট গল্প, কবিতা, শিক্ষামূলক লেখা পাঠান আমাদের ই-পোর্টালের মেইল আইডিতে। বিভাগীয় সম্পাদক, ’শনিবারের বিকেল’times.14.2020@gmail.com

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close