Balurghat : নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার

১২০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার বালুরঘাটের হোসেনপুরে

আরও পড়ুন

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে বালুরঘাট থানার হোসেনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২০০ টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনায় ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শুভঙ্কর বর্মন। বালুরঘাট থানার পুলিশ সুপার রাহুল দে মনে করছেন যে, ওই নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতলগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। সেই কারণেই বোতলগুলি বাড়িতে মজুত করা ছিল। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও ব্যক্তি জড়িত আছে বলে পুলিশদের প্রাথমিক অনুমান। 

বালুরঘাট পুলিশ সুপার রাহুল দে এই পাচার কাণ্ড নিয়ে বললেন

উল্লেখ্য, বহুদিন থেকেই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের যথেষ্ট প্রবণতা রয়েছে। পুলিশের নজর ফাঁকি দিয়ে অনায়াসেই যাত্রীবাহী গাড়িতে করেই পাচার করা হয় শিশি ভর্তি নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ। এক একটি প্যাকেটে ৫০ টি করে শিশি রাখা হয় এবং একটি কেসে থাকে ১০ টি করে প্যাকেট। এর আগে পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, আগে বাইকে করে অথবা মালবাহী গাড়িতে করে শিশিগুলি পাচার করে দেওয়া হত। কিন্তু পরে পুলিশের লাগাতার অভিযানের জন্য এধরনের একাধিক গাড়ি আটক করে কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকেই পাচারের এই কৌশল পরিবর্তন করেছে দুষ্কৃতীরা। 

উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ

সূত্রের খবর, ওই ১২০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বাজার মূল্য প্রায় দু লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটা বড় অংশ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে৷ এখনও পর্যন্ত এই সীমান্তের বেশ কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেদার চোরাকারবারি চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তের কোন গ্রামে এই কাফ সিরাপগুলি পাচার করা হচ্ছিল সেই ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

দিনকে দিন কাফ সিরাপের মাধ্যমে নেশা করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সিরাপ কেন এতই সহজ এবং এ নিয়ে কেউ সন্দেহও করবে না। কিন্তু একে নেশা হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা শুরু হয়েছে আট থেকে আশি সব বয়সীদের মধ্যেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নেশার ফলে ক্যানসার সহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। কাশির সিরাপের মধ্যে ফেন্সিডিল এবং কোরেক্সের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। কাফ সিরাপের কম বয়সী ক্রেতা গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে। কেউ এমনি সিরাপ খায়, কেউ আবার চায়ে মিশিয়ে খায়। প্রত্যেক বোতলে ১০০ মিলিলিটার ফেন্সিডিল থাকে। এক কাপ চায়ে চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ ফেন্সিডিল মিশিয়ে গরম কিছুর সঙ্গে খেলে নেশার মাত্রা বাড়ে৷ চায়ের গন্ধের জন্য সিরাপের গন্ধও চলে যায়। 

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close