আদিবাসী যুবকের হাতে খুন হল পাড়ার পঞ্চাশোর্ধ এক সদ্য দাদন ফেরত আদিবাসী বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারী গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরীপাড়া ঢেলপির গ্রামে। বুধবার বয়স ৫৭ বছরের লক্ষীরাম হেমরমকে দা এবং কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুনের অভিযোগ উঠল গ্রামের বছর ২৪-এর মিলন বাস্কি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। লক্ষীরাম হেমরমের মাথায় আঘাত করার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত মিলন বাস্কে কুড়াল সহ থানায় গিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারপর এই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বংশিহারী থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষীরাম হেমরমকে তার বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ উদ্ধার করে রশিদপুর হাসপাতালে আনে। সেই হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেহে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ টিকে ওই দিনই ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রের খবর, গত সাত দিন আগে দাদন থেকে ফিরেছেন লক্ষ্মীরাম হেমরম। মঙ্গলবার তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী ফাগু বাস্কি (৫০) অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ছিলেন। গতকাল লক্ষীরাম হেমরম মদ্যপ অবস্থায় বলতে থাকেন,”ফাগু হেমব্রম নাকি বেশি দিন বাঁচবে না, ও খুব শীঘ্রই মারা যাবে।” এই কথাগুলি ফাগু হেমরমের ছেলে মিলন বাস্কি মেনে নিতে পারেনি।
পরদিন বুধবার সকালে ফাগু বাস্কের ছেলে সহ কয়েকজন লক্ষ্মীরাম কে তার বাড়ির সামনে মারতে থাকে। দা ও কুড়াল দিয়ে আঘাত করতে থাকে। প্রতিবেশীরা সেই ঘটনা দেখলেও ভয় কেউ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্যে যাননি। কুড়ালের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষীরাম হেমরম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শেফালী হালদার বলেন, পাঁচ-ছয় জন মিলে লক্ষীরাম হেমরমকে মারতে আসে। প্রথমে তাকে পা দিয়ে ও জুতো দিতে মারা হয়। তাদের মধ্যে মিলন বাস্কি-ই তাকে প্রথমে আঘাত করে জানা গেছে। তিনি আরও জনিয়েছেন,