মাত্র ন’মাসের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন গর্ভধারিনী মা। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওড়ের হাসপাতালমোড় সংলগ্ন এলাকায়। এমন খবর চাউর হতেই প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সমগ্র এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ওই শিশুর নাম তৃষা শীল। ক’দিন আগেই তার অন্নপ্রাশন ছিল। আর পাঁচটা শিশুর মতই হাত পা ছুড়ত, হাসতো দুগ্ধপোষ্য শিশুটি। এমন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকায় পৌঁছে অভিযুক্ত মা বর্ণা শীলকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বর্ণা শীলের সঙ্গে বিয়ে হয় দিওড়ের রামকৃষ্ণ শীলের। বিয়ের ছ’মাস পরেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হন বর্ণা। দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসাও চলছিল তার। এরই মাঝে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বাড়তি নজর দেন উভয় পরিবারের লোকেরা।
ন’মাস আগেই একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বর্ণা। এরপর, প্রায় পাঁচ মাস বাবার বাড়ি পাগলীগঞ্জেই ছিলেন তিনি। মাত্র কয়েক মাস হ’ল শ্বশুড়বাড়ি দিওড়ে এসেছিলেন বর্ণা। যেখানে স্বামী ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ির নজরদারির মধ্যেই ছিলেন ফুটফুটে শিশু কন্যাটি ও তার মা বর্ণা। শিশুকন্যার ঠাকুরমা মায়ারানী শীল ব্যাঙ্কের জরুরী কাজে স্বল্প সময়ের জন্য বাইরে বেরোতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি।
পরিবারে সূত্রের খবর, ঠাকুরদা হরনাথ শীল কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে ঘরেই শুয়েই ছিলেন তিনি। এরই মাঝে ওই শিশুকন্যাকে বাড়ির পিছনে একটি কলাবাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার মা বর্ণা বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দিওড় এলাকায়। শোকোস্তব্ধ শীল পরিবারও।
কুমারগঞ্জের দিওড় থেকে বাপ্পা হালদারের রিপোর্ট, টাইম ফোর্টিন বাংলা