Dakshin Dinajpur : বালেশ্বরকাণ্ডে আহত দুই পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে পা রাখতেই ভিড়

আরও পড়ুন

মুহূর্তে সব অন্ধকার। কামরার কোনও আলো জ্বলছে না, চলছে না ফ্যানও। কানে আসছে প্রবল আর্তনাদ-সহ চিৎকার। সমস্ত শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। তারপর কিছু মনে নেই। এরপর জ্ঞান ফিরে দেখলাম হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আছি। ওড়িশার বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেস-এর সংঘর্ষে বালুরঘাট স্টেশনে নেমে এমনই দুর্বীসহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আহত দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাজেশ মার্ডি ও বিপ্লব হেমব্রম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা বালুরঘাটে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনল জেলা প্রশাসন। হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস রেলগাড়ির বিশেষ ব্যবস্থা করে নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানার অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত হাঁসইল কাসিম্বি গ্রামে। এই দুই পরিযায়ী শ্রমিক সম্পর্কে জামাইবাবু ও শ্যালক। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকে তারা কাজ করে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে করে গ্রামে ফিরছিলেন। রেলগাড়ির জেনারেল কম্পার্টমেন্টে তারা ছিলেন। দু’জনের মধ্যে একজনের পায়ে আঘাত লেগেছে, অন্যজনের হাত ভেঙেছে। অ্যাক্সিডেন্টের মুহূর্তের কথা মনে করলে আতঙ্কে এখনও কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজেশ মার্ডি। দুমড়ে-মুচরে যাওয়া রেলগাড়ির কম্পার্টমেন্টে অনেকগুলি মৃতদেহের মধ্যে আটকেছিলেন তিনি। ওই কম্পার্টমেন্টে ৫০ জন বেঁচেছিলেন, বাকিরা সবাই নিহত। কিভাবে তিনি ট্রেন থেকে মুক্তি পেলেন, তা মনে করতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে তাকে বার করার পর নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার একটি হাসপাতালে এবং সেখানে চিকিৎসার পর নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। মঙ্গলবার হাওড়া হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এখন তারা প্রায় সুস্থই রয়েছেন। রেল পুলিশ, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম এই দুই আহত যাত্রীকে নিয়ে আসে। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

বালুরঘাট থেকে বাপ্পা হালদারের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close