আধুনিকতার ছোঁয়ায় ‘তালপাতার পাখা’ ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নেই বললেই চলে। বর্তমানে হাতে তৈরি এই পাখার প্রচলন তেমন না থাকার ফলে নেই ওই হাতপাখা তৈরির প্রবীণ কারিগরেরাও।ছোটবেলার পাঠ্য পুস্তকে কবির লেখার মধ্যে উঠে এসেছে দামোদর শেট্টি খাওয়ার পাশাপাশি তাল পাতার পাখার ব্যবহার।
কালের আবর্তে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী তালপাতার হাতপাখা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বিলুপ্তির পথে প্রাচীন এই শিল্প।তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারণ এলাকায় তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছেন প্রবীণ কারিগর। পেশাটিকে ধরে রাখার জন্য এখনও হাত পাখা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, একসময় তালপাতার হাতপাখা ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীক। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার-সহ নানান ধরনের অত্যাধুনিক জিনিস বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় চাহিদা কমেছে তালপাতার হাত পাখার। ফলে,বিক্রি না হওয়ায় কারিগরেরা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। গ্রাম থেকেও উঠে গেছে সারি সারি সব তালগাছ।একসময় তালপাতার হাতপাখা ছিলো গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীক। বর্তমানে হাতে তৈরি হাত পাখার প্রচলন তেমন আর নেই বললেও চলে, নেই এই হাতপাখা তৈরির নতুন প্রজন্মের কারিগর।
উল্লেখ্য,বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্য কাজে মনসংযোগ করেছেন।ফলে, ক্রমশ হাঁড়িয়ে যাচ্ছে শিল্পীসত্তা।
জানা গিয়েছে, তালগাছে উঠে তালপাতা, বাঁশের কি , গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদের মুখে পড়তে হয় প্রবীণ কারিগরকে। এমনকি বাজার দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে হাত পাখার সরঞ্জামের দাম।ফলে বিপাকে তালপাতার শিল্পীরা। চার দশকের বর্ষীয়ান শিল্পী সরকারি সাহায্যের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে বাপ্পা হালদারের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।