শুক্রবার রাতের প্রলয়ঙ্করী ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাসদর বালুরঘাট শহরে। ঝড়ের তান্ডব ছড়িয়ে পড়েছে বালুরঘাট পুর এলাকা-সংলগ্ন ডাঙা-সহ জেলা সদর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়াতেও। এদিন রাত ঠিক ৮টা নাগাদ আকাশে মেঘ কালো করে বৃষ্টি নামে। প্রায় আধ ঘন্টা বাদে শুরু হয়ে যায় প্রলয়ঙ্করী ঝড়। তান্ডব স্থায়ী হয় আরও এক ঘন্টা। তাতেই শতাব্দী-প্রাচীন স্থানীয় হাসপাতাল মোড়ের কাছে থাকা পাকুড় গাছটি উপড়ে যায়, তার নিচে চাপা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায় পুরসভা নির্মিত যাত্রী-প্রতীক্ষালয়টি।
এদিনের ঝড়ে উড়ে যায় বহু বাড়ির টিনের চালা,ভেঙে পড়ে সীমানা পাঁচিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়- উৎসবের জন্য নির্মিত অস্থায়ী প্যান্ডেলও। ঝড়-বৃষ্টি ব্যাপ্তি খানিকটা প্রশমিত হলে সমগ্র জেলা থেকেই ক্ষয়-ক্ষতির খবর নিতে থাকেন জেলা সমহর্তা আয়েশারানী এ এবং জেলার পুলিশ সুপ্রিমো রাহুল দে।
পাশাপাশি ঝড়ের তান্ডবের ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে জেলার জেলা সমহর্তা আয়েশারানী এ এবং জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে শনিবার সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে বেড়িয়ে পড়েন। পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে জনজীবনকে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজে নেমে পড়েছে। শুক্রবারের রাতের ঝড়ের পর বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, সেই কাজে বিদ্যুৎ দফতরকেও তৎপর হতে পরামর্শ দিয়েছেন জেলা পুলিশ-কর্তা শ্রী দে। এদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে ঠিক কি বলেছেন শুনব-
অন্যদিকে ঝড়ের তান্ডবকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করা কুমারগঞ্জের বাসিন্দা মফিজউদ্দিন মন্ডল ঠিক কি বলেছেন শোনাব-
বাপ্পা হালদার,বালুরঘাট(দক্ষিণ দিনাজপুর)