সুতপার উপর নিয়মিত নজরদারি চালাত সুশান্ত ? এই ঘটনায় কি তৃতীয় কোন চরিত্র জড়িত আছে? সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য বহরমপুরে প্রকাশ্য খুনের ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো একরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এই ঘটনায় সুতপার কোন বান্ধবী কি সুশান্ত কে সাহায্য করেছিল? এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত তদন্তকারীদের মধ্যে উঠে আসা তথ্যের মধ্যে একটি হল ”সুশান্ত তাহলে কি সুতপার কোনও বান্ধবীর সাহায্যে তার সমস্ত খোঁজ নিত ? সুতপার যাবতীয় গতিবিধির উপর নজর রাখত সুশান্ত। নতুন কোন ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কিনা , তার জীবনে নতুন কেউ এসেছে কিনা সেই যাবতীয় বিষয়ে নজর রাখত সুশান্ত। এই বিষয়ে সে কাউকে ব্যবহার করত কিনা ” সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। অর্থাৎ সুতপার কোন বান্ধবীর সঙ্গে সুশান্তর কোন যোগাযোগ ছিল কিনা সেটাই খতিয়ে দেখবে পুলিশ সূত্রের খবর। এইজন্যই সুশান্তর ফোন থেকে এই খুনের তথ্য বার করার চেষ্টা করছেন । প্রসঙ্গত এই বিষয়ে কিছু মনোবিদরা বলছেন ” খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা বন্ধু ছাড়া বাঁচতে পারি না। বাঁচা অনেক কঠিন। অনেক গোপন কথাও সেই কাছের মানুষকে আমরা জানাই। তবে ব্যক্তিগত জীবনের কতটা ব্যাক্তিগত রাখা প্রয়োজন আজকের ‘স্মার্ট’ যুগে তাও বোঝা খুব জরুরি ”। জানা যায় মাসদুয়েক ধরে সুশান্তর ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছিল। কারও সঙ্গে ভালো করে কথা বলত না, অল্পেতেই মেজাজ হারাত। সবাই জানত সুশান্ত পাটনায় ফিরে গিয়েছে, দাবি ধৃতের ভাইয়ের।
অন্যদিকে নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, মালদার ইংরেজবাজারের এয়ারভিউ রোডে তাঁর বাড়ির উল্টোদিকেই পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সুশান্ত। সেই সূত্রেই সুতপার সঙ্গে বন্ধুত্ব। নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ১১টায় মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে শেষবার কথা হয়। সেইসময় মেয়ে টাকা চেয়েছিল বলে নিহত ছাত্রীর বাবার দাবি। এমনকি মেয়ে জানায়, ফোন করে ব্ল্যাকমেল করছে সুশান্ত। হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে বলেও জানান তরুণী।
সূত্রের খবর, ধরা পড়ার পরেই ঠান্ডা গলায় সুশান্ত প্রশ্ন করেছিল, ”ও কি মারা গিয়েছে?” এই প্রশ্ন শুনে কার্যত অবাক হয়েছিলেন পুলিশ কর্তারা। কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।পুলিশি জেরায় দাবি করেছে, সে ওই তরুণীর ‘প্রেমিক’ ছিল। একাধিক সম্পর্কের জেরেই বহরমপুরের তরুণীকে খুন করার কথাও জানিয়েছে জেরায় সূত্রের খবর এমনটাই। তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্তই নাকি ছক কষে তাঁকে খুন করেছে, অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। এমনকী, নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন সুশান্ত। তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। ওই যুবক তার ফেসবুকে ফলাও করে লিখে রেখেছিল, “আমি ভারতীয়। এই বেওয়াফা তোর উপর একদিন অনেক ভারী পড়বে। এমনকী, তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে ম্যাডামজি।” সঙ্গে ‘স্যাড (দুঃখ)’ ইমোজি পোস্ট করে সুশান্ত।দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমিকাকে খুনের চক্রান্ত করছিলেন সুশান্ত, মনে করা হচ্ছিল এমনটাই। অন্যদিকে সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত। এলাকার একটি বাড়ির পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখেছিল সে। খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।