নেশা করার জন্য টাকা না দেওয়ায় মা-কে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়া পুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে ভাটপাড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তারপরই পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রের খবর, যুবক। তবে ওই যুবক পিস্তল কী ভাবে পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ভাটপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মহিলার নাম সালমা বিবি, বয়স ৬০ বছর। ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁকিনাড়া নয়াবাজার ৫ নম্বর সাইডিং এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।স্থানীয় সূত্রের খবর, নেশার টাকা না পাওয়ার জন্যই ৩০ বছর বয়সী নাসির তার মা-কে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ মহম্মদ নাসির তার বৃদ্ধা মা সালমা বিবির কাছে নেশা করার জন্য টাকা চায়। কিন্তু সালমা বিবি টাকা দিতে রাজি হননি। এটা নিয়েই মা ও ছেলের মধ্যে বচসা বাধে। সেই সময়ই নাসির পিস্তল বের করে সালমা বিবির মাথায় গুলি করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সালমা বিবির। এদিকে, গুলির শব্দ শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং পিস্তল সহ নাসিরকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন। তারপর তাঁরাই ভাটপাড়া থানায় খবর দেন এবং নাসিরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। যদিও নাসিরের স্ত্রী মাসমা বিবির দাবি, মজা করতে গিয়েই পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, সকালে মায়ের কাছ থেকে নাসির ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। আরও টাকা চাওয়ায় সে দিতে চায়নি। তারপরই বন্দুক বের করে মা -কে ভয় দেখাতে থাকে। আচমকাই গুলি বেরিয়ে যায়।
তবে নাসিরের কাছে পিস্তল কী ভাবে এল, একটি নয়, একেবারে দুটি পিস্তল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নাসিরের স্ত্রী-র দাবি, প্রতিবেশী আকবর দুটি পিস্তল নাসিরকে রাখতে দিয়েছিল। তাঁর কথায়, “আকবরকে বারবার বলেছিলাম পিস্তল দুটো নিয়ে নিতে। কিন্তু নিয়ে যায়নি।”গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে ভাটপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর গোটা রাজ্যজুড়ে পুলিশি তল্লাশিতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তারপরেও ভাটপাড়ায় সাধারণ এক যুবকের কাছে কী ভাবে দুটি পিস্তল এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাটপাড়া এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটে চলেছে। বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা চলছেই। এলাকার মানুষের বক্তব্য- দ্রুত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করুক পুলিশ।