অসময়ের খিদে হোক বা টিফিন হিসেবে ম্যাগির জুড়ি মেলা ভার। অনেকেরই প্রথম রান্না শেখা কি জিজ্ঞেস করলে, উত্তর আসে ম্যাগি। বলাই বাহুল্য, এর রন্ধন পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং খুবই কম সময়ে বানিয়ে ফেলা যায় ম্যাগি(Maggi)। কেউ কেউ আবার ম্যাগি নিয়ে নতুন নতুন ফিউশন ডিশ বানাতে পছন্দ করেন। ম্যাগি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট না করা লোকের সংখ্যা খুব কম। পনির ম্যাগি থেকে শুরু করে ম্যাগি মোমো, ম্যাগি পকোড়া ইত্যাদি সব ধরনের রেসিপিই বাড়িতে বানিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় দুধ, চকোলেট এবং আরও নানা উপকরণ দিয়ে ম্যাগি তৈরির পরীক্ষামূলক রেসিপি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি, এমন একটি ভাইরাল হওয়া রেসিপি হল, ফ্যান্টা ম্যাগি।
চেনা ছকের বাইরে নতুন নতুন স্বাদের রেসিপি বানিয়ে যেমন সুনাম অর্জন করেছেন অনেকেই, তেমনই আবার এই নেশার ঘোরে এক্সপেরিমেন্টাল রেসিপি ফ্লপ করেও ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন বহু রাঁধুনি। তার মধ্যে যেমন ছড়িয়ে পড়েছে, ওরিও বিস্কুট দিয়ে তৈরি পকোড়া বা কোল্ডড্রিংক দিয়ে তৈরি অমলেটের রেসিপি, কোকাকোলাতে দুধ মিশিয়ে তৈরি নতুন খাবার৷ কিন্তু, এই সমস্ত রেসিপি প্রশিক্ষিত বা শখের রাঁধুনিরা তৈরি করছেন তা নয়, রাস্তাঘাটের ফুড হকারদের মধ্যেও এইসব ফিউশন রেসিপি রান্না করার প্রবণতা বেশ লক্ষ্য করা গেছে। তেমনই গাজিয়াবাদের এক ফুড হকারের তৈরি রেসিপি এই ফ্যান্টা ম্যাগি।
তাঁর ফ্যান্টা ম্যাগি রান্নার পদ্ধতি অনুযায়ী, প্যানে প্রথম ঘি দেওয়া হয়। পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, কাঁচা লংকা এবং টমেটো দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় এবং তারপর একটি পুরো বোতল ফ্যান্টা প্যানে ঢেলে দেওয়া হয়। ম্যাগির সাথে তা ফোটানো হয়, তার ওপরে নুন, হলুদ, ধনেগুঁড়ো, লংকা গুঁড়ো, আরও বিভিন্ন মশলা, লেবুর রস এবং চাট মশলা সহযোগে ফ্যান্টা ম্যাগি পরিবেশন করা হয়।
ফ্যান্টা ম্যাগির স্বাদ কেমন হবে তা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কারও কারও কথায়, এই রেসিপি খেতে নাকি অবিশ্বাস্য রকমের ভালো। কেউ কেউ আবার বলছেন, ফ্যান্টা বা এই জাতীয় নরম পানীয় ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। চিকেন বা অন্য মাংস রান্নার ক্ষেত্রে কোলা ব্যবহার করা হয় মাঝে মাঝে, কিন্তু তাই বলে যে ম্যাগিতে ফ্যান্টা মেশানো হবে তা কেউই কল্পনা করতে পারেননি।