বিহার সীমান্ত থেকে তিনশো মিটার দূরে কলা বাগান পরিষ্কার করার সময় বস্তা বন্দি কৌটা বোমা উদ্ধার। সূত্রের খবর মালদার চাঁচল থানার মহানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতি মত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেই জায়গাটি ঘিরে রাখে। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। পরে বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করে বোমা স্কোয়াড। কে বা কারা বোমা রাখল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা কানাই পোদ্দার তার কলা বাগান পরিষ্কারের জন্য মঙ্গলবার সকালে বাগানে যায়। বাগান পরিষ্কার করার সময় দেখতে পায় মুখ খোলা অবস্থায় বস্তা পরে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখত পায় বস্তার মুখ খোলা সামনেই পরে রয়েছে একটি বোমা। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরেছে। এরপর খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে দেয়। উদ্ধার হয়েছে ছয়টি কৌটা বোমা। খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। পরে বোম স্কোয়াডের দল বোম গুলিকে নিস্ক্রিয় করে। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এই বিষয়ে কানাই পোদ্দার জানান, ”এদিন বাগান পরিষ্কার সময় বোমা গুলি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তিনি। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে জায়গাটি ঘিরে নেয়। তবে কে এই বোমার বস্তা এখানে রেখে গেল তা বুঝতে পারছি না। আমরা ঘটনায় আতঙ্কিত। পুলিশ এর সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে ”।
অন্যদিকে চাঁচলের বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা কটাক্ষ করে বলেন ,”আমরা প্রথম থেকে দাবি করেছি মালদা জেলা বোমা বারুদের স্তুুপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই কথায় পড়তে পড়তে সঠিক হচ্ছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট -এর আগে যে ভাবে ভোট লুঠ করেছে। এবারেও হয়তে সেই উদ্দেশ্যে কালিয়াচক,চাঁচল সহ জেলার একাধীক ব্লকে বোম মজুত করছে। আর সেই গুলি গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে।আমরা চাই প্রশাসন এখন থেকে সঠিক তদন্ত করুক ”।
পাশাপাশি চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির সচিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ”বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। সেক্ষেত্র পুলিশ কাজ ভালো কাজ করছে। বিজেপি ভালো কাজ চোখে দেখতে পাই না। বিজেপির কাজ ভালো কাজ নিয়ে কুৎসা করা। যদি কেউ অন্যায় করে আইন আছে পুলিশ -প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।