রোগী বহন নিয়ে বচসা, হাসপাতালে দুই অ্যাম্বুলেন্স চালকের হাতাহাতিতে উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই পক্ষই, চাঞ্চল্য এলাকায। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। সূত্রের খবর রোগী বহন কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার দুই অ্যাম্বুলেন্স চালক। জানা যায় শেখ ইসারুল নামক এক অ্যাম্বুলেন্স চালক কে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা মারধরের অভিযোগের ঘটনায় দুই অ্যাম্বুলেন্স চালক নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে ওই দুই চালককে গুরুতর আহত অবস্থায় হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চেনে প্রথমে নাম ছিল পল্লব দাস নামক এক চালকের। সে সময় এক মরণাপন্ন শিশুকে মালদা নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার করা হয়। কিন্তু পল্লব দাস নামে ওই চালক জানায় তার গাড়িতে অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে তাই সে বাচ্চাটি নিয়ে যেতে পারবে না। এই সময় শেখ ইসারুল নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে আসে। পল্লব দাস নামে ওই চালক তখন ইসারুল কে বলে ওই বাচ্চাটিকে মালদা নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সময় ইসারুলের গাড়ির নাম্বার না থাকায় সে বাচ্চাটিকে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে। আর এর ফলে পল্লব দাস তার ভাইদের সঙ্গে করে নিয়ে ইসারুল কে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর চালায় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক ইসারুলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক পল্লব দাস। তিনি জানান ”আমার গাড়িতে অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি শিশুটিকে নিয়ে যেতে চাইনি। আমি শেখ ইসারুল কে অনুরোধ করেছিলাম যাতে ওর নিজের অ্যাম্বুলেন্সে শিশুটিকে মালদা নিয়ে যায়। কিন্তু আমার কথায় কান না দিয়ে আমাকে পাল্টা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং বেধড়ক মারধর করে। আমার চিৎকারে আমার ভাইরা ছুটে আসে আমাকে বাঁচায়। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ”। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় ইসারুল ও পল্লব দাস কে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষেরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আক্রান্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক ইসারুল জানায় গতকাল রাত্রে রোগী নিয়ে এসেছে হাসপাতালে ভর্তি করার পরই গাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছিল। এই সময় অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক পল্লব দাস তাকে একটি শিশুকে মালদা নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি শুরু করে। কিন্তু চেনে সেসময় তার নাম্বার ছিল না। সে কথা জানাতেই তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে পল্লব দাস ও তার দুই ভাই। মারের চোটে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এই হাসপাতাল চত্বরে পল্লব দাসের নেতৃত্বে দালাল চক্র চলছে বলে দাবি করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক ইসারুল।
পাশাপাশি আক্রান্ত পল্লব দাসের দাবি ওই আমার গাড়িতে অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি শিশুটিকে নিয়ে যেতে চাইনি। শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে বললে শেখ ইসারুল তাকে পাল্টা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।কিন্তু আমার কথায় কান না দিয়ে আমাকে পাল্টা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং বেধড়ক মারধর করে। আমার চিৎকারে আমার ভাইরা ছুটে আসে আমাকে বাঁচায়। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ প্রসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের চেন মাস্টার শান্তনু ঘোষ জানান আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। দোষী প্রমাণিত হলে ওই দুই চালক কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ”দুই পক্ষেরই অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ”।