শিলান্যাসের দু’বছর কেটে যাওয়ার পরও রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘির মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতে লক্ষ্মীর মোড় থেকে জগদীশের খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা তৈরি না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, রাস্তাটি বহু বছর আগে সুন্দরবন উন্নয়ণ পর্ষদ থেকে ইট পেতে তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কার হয়নি। সারা রাস্তায় ইট উঠে গর্ত তৈরি হয়েছিল সেখানে। বছর দু’য়েক আগে রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় পাকা করার অনুমোদন মেলে। লক্ষ্মীর মোড় থেকে জগদীশের খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল এক কোটিরও বেশি টাকা। কিন্তু শুরু থেকেই নানা টালবাহানায় কাজ এগোয়নি। পরে জগদীশের খেয়াঘাট থেকে সামান্য কিছুটা রাস্তা ঢালাই করা হয়। বাকি কাজটি পড়েই রয়েছে।
ওই রাস্তা দিয়ে নন্দকুমারপুর, জয়কৃষ্ণপুর, কুমড়োপাড়া, পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুর, ঢোলাহাটের মিলন মোড় এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল, কলেজ, বিডিও অফিসে আসতে হলে এই পথ ধরে আসতে হয়। ঢোলাহাট ও পাথরপ্রতিমার অনেকে নদী পার হয়ে ডায়মন্ড হারবার বা পাথরপ্রতিমা যাতায়াত করেন এই পথে। দীর্ঘদিন ওই রাস্তা বেহাল পড়ে থাকায় ঘুরপথে গিয়ে সবাইকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। রোগীদের নিয়ে রায়দিঘি বা ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে যেতে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় আলো নেই। সন্ধ্যার পরে গাড়ি চলাচলে আরও সমস্যা হয়। অনেক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে ঢুকতে চায় না বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিধায়কের দাবি, রাস্তাটি কংক্রিটের ঢালাই দিলে ভালো হতো। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা কংক্রিটের রাস্তার বদলে পিচ রাস্তার দাবি তুলে তাদের কাজে বাধা দেন। পরে রাস্তার কাজের সরঞ্জামের দাম বাড়ায় ঠিকাদার কাজ করতে সমস্যা তৈরি করেন। তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় দফতরের তরফে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে কাজ কিছুটা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষমেশ কবে নাগাদ এই কাজটি শেষ হয় সেটাই এখন দেখার।
ফোর্টিন টাইমলাইন, দক্ষিণ ২৪ পরগণা।