কথায় আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তারই এক উদাহরণ হলেন তনুশ্রী লালা। ১৯ বছর ধরে খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। খেলাধুলোর শখ থাকলেও সাংসারিক চাপ থাকার ফলে তিনি অনেকদিন খেলা থেকে বিরত ছিলেন।
তবে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। তাই তিন বছর আগে পুনরায় তনুশ্রী অনুশীলন শুরু করেন এবং তাতেই তাঁর সাফল্য আসে। ঘরের ও বাইরের কাজ সামলে প্রাপ্ত বয়স্কদের ন্যাশনাল অ্যাথলেটিকসে হেঁটে সোনা জিতলেন মালদার ৩৮ বছরের গৃহবধূ তনুশ্রী লালা। বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লী এলাকায়। স্বামী সুব্রত লালা পেশায় বেসরকারি কর্মী। তনুশ্রী বলেন,
সম্প্রতি, চেন্নাইয়ের জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ৪২ তম ন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তনুশ্রী ৫ কিলোমিটার হাঁটা এবং ৫০ ফুট দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাতে জয়ী হন। হাঁটা প্রতিযোগিতায় তিনি সোনা এবং দৌড় প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক পান।
স্বামী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে তনুশ্রীর পরিবার। তনুশ্রী বলেন,”গত তিন বছর ধরে আমি অনুশীলন করছি। পারিবারিক সমস্যায় বেশ কিছুদিন ধরে অনুশীলন চালাতে পারেনি”। গত ১৯ বছর বন্ধ ছিল তার খেলাধুলা। এরপর, তার পরিবারের সহযোগিতায় তিনি আবার মাঠে অনুশীলন শুরু করেন। প্রতিদিনই দু’ঘণ্টা সকালে-বিকালে দেড়ঘন্টা ধরে অনুশীলন করেন।
আগামীতে তার লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নেওয়ার। তবে আর্থিক সংকটের জন্য কিছু সমস্যা রয়েছে। তনুশ্রীর কোচ অসিত পাল জানান, “ছাত্রীর এই সাফল্যে তিনি ভীষণ খুশি। তিনি জানান, তনুশ্রীর এই সাফল্যে খুশি মালদাবাসী, জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আগামী দিনে তনুশ্রীর ইচ্ছা পূরণ করার ক্ষেত্রে আমি রয়েছি তার সাথে। তাকে আর্থিক সহায়তা করা হলে তনুশ্রী আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পাবে এই আমার বিশ্বাস।”