Hooghly: দিব্যজ্যোতির দর্শণ নাকি আলেয়া?

আরও পড়ুন

রাতের অন্ধকারে দিব্যজ্যোতির দর্শন। ভূপৃষ্ঠে থাকা জলাশয়ের মধ্যেই দেখা গেল অবিকল সূর্যদেবের জ্বলন্ত রূপ। গ্রামবাসীদের মতে, রবিবার রাত থেকেই ভগবানের অসীম কৃপার সাক্ষী। তবে জানা গেছে, দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই দিব্যজ্যোতি উধাও। দিন গড়িয়ে রাতের অন্ধকার নামতেই আবারও গোল আলোক ছটার ঝলকানি।

এক অলৌকিক ঘটনার স্বাক্ষী হলেন হুগলির রিষড়ার পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নং পদ্মপুকুরবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাধারনের ভির সামাল দেয় তারা। স্থানীয়দের বক্তব্য, বহু পুরনো এলাকার এই পদ্মপুকুর। এখানে ৩৩ কোটি দেবতা সমৃদ্ধ হিন্দু সমাজের নানাবিধ দেব-দেবীর মূর্তি বিসর্জন হয়েছে। তাই তাদের বিশ্বাস ঈশ্বরের অসীম কৃপাতেই ওই পুকুর থেকে দিব্যজ্যোতির আগমন হয়েছে।

যদিও বিজ্ঞান মনোবিদদের কাছে বর্ষায় পুকুরে আলোর দেখার সঙ্গে কোনও অলৌকিক কিংবা ভৌতিক ঘটনার মিল নেই। রিষড়া ইন্সটিটিউটের সদস্য রথীন শীল বলেন, এই ঘটনার কারণ অলৌকিক অথবা ভৌতিক নয়। পুকুরে রাসয়নিক কোন বিক্রিয়ার ফলেই আলোক ছটা বেড়িয়ে আসতে পারে। বিষয়টি সকলকে আরও ভালোভাবে বোঝানোর জন্য তৎপর সংবাদ মাধ্যম। আসলে এটি “আলেয়া”।

পুরনো পুকুরে পাক কিংবা পচে যাওয়া গাছ-পাতা অথবা আবর্জনা থেকে বেরনো মিথেন গ্যাস বর্ষায় বায়ুর সংস্পর্শে এসে জ্বলে যায়। মিথেন গ্যাস বেশি থাকলে আগুন জলের বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারে আবার অনেক সময় জলের নীচে কিংবা জলস্তরেও তা জ্বলজ্বল করতে পারে। যাকে বিজ্ঞান সম্মতভাবে “আলেয়া” বলা হয়। রিষড়ার ৩ নং পদ্মপুকুরেও সেই আলেয়ার দেখা মিলেছে। সুতরাং, এটি কোন অলৌকিক কিংবা ভৌতিক ঘটনা নয়।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close