নাবালিকার দেহ গ্রামে পৌঁছতেই চরম উত্তেজনা কোচবিহারের কালজানি গ্রামে। এলাকার মহিলারা অভিযুক্তদের বাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো এলাকা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘরগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যমে-মানুষে লড়াইয়ের পর অবশেষে কোচবিহার এম জে এম হাসপাতালে নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যু হল। এই মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিন যাবৎ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতনের ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ খানিকটা চাপে রয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধী দলকে নতুন করে হাতিয়ার তুলে দিতে রাজি নয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আগেভাগে নিহত নাবালিকা তাদের দলের সমর্থক দাবি করে মৃতদেহ নিজেদের দখলে আনতে তৎপর হয় শাসক দল। বিজেপি-ও বসে থাকেনি। তারা তাদের সমর্থক দাবি করে মৃতদেহ নিজেদের দখলে নিতে চাইলে দুটি বিবাদমান রাজনৈতিক দলের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তবে মৃতদেহটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখলে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামের মহিলারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করতে তারা বাড়ির সামনে চলে আসেন। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ডাকা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। পুলিশ উত্তেজিত মহিলাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে। শেষমেশ ঘটনার মোড় কোনদিকে নেয়, সেটাই এখন দেখার।
কোচবিহার থেকে চন্দন দাসের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।