সাত বছর বয়সের এক শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আসানসোল চত্বরে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ৬ জুলাই বেলা তিনটে নাগাদ নিখোঁজ হয় ওই শিশুটি এবং রবিবার তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কাজোড়া পঞ্চায়েতের মাধবপুর গ্রামের বাউরিপাড়ার বাসিন্দা মৃত ওই শিশুটি। সাত বছর বয়সের মৃত ওই শিশুটির নাম সৌরভ বাউরি।
পরিবার সূত্রে খবর, ৬ জুলাই সৌরভ খেলতে যাওয়ার কথা বলে বেলা ৩টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। হদিস দিতে পারেননি কেউ-ই। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও পাওয়া যায়নি সৌরভকে। এরপর স্থানীয় অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সৌরভের পরিবার। তদন্তে নামে অন্ডাল থানার পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পরে সৌরভের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি জঙ্গলে ফুলে ওঠা সৌরভের মৃতদেহ চোখে পড়ে পড়শীদের। এরপর অন্ডাল থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গ-এ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় । এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে, মৃত শিশুর বাবা সুরজ বাউরি জানান, শুক্রবার সৌরভকে জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে দেখা গিয়েছিল এক দম্পত্তির মোটরবাইকে। এক পরিচিত আত্মীয়ের মাধ্যমে এমন খবর পান তারা। এই খবর পুলিশকে জানালে তারা কোনও ভ্রূক্ষেপ করেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা চণ্ডীচরণ চট্টরাজের নেতৃত্বে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সৌরভের আত্মীয়-পরিজনেরা। কেনও এবং কিভাবে এই মর্মান্তিক খুনের শিকার হতে হ’ল সৌরভ তা পরিবারের সদস্যরা ভেবেই পাচ্ছেন না।
সৌরভ বাউড়ির মা লক্ষী বাউরি জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে হচ্ছে সৌরভ। ধান্ডাডিহি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। লক্ষী বাউরি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে খুনের কারণ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। পরিবারের দাবি- পুলিশ তাড়াতাড়ি এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করুক।
সৌরভের শরীরে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।পরিবারের অনুমান, সৌরভকে খুন-ই করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ না হলেও অপহরণ মামলার তদন্ত করছে পুলিশ।
ফোর্টিন টাইম লাইন, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান।