Bardhaman : নির্বিঘ্নে যাত্রীর সন্তান প্রসব করাল ভারতীয় রেল

আরও পড়ুন

কখনও রেলগাড়ির খাবারে আরশোলা , কখনও টিকটিকি , কখনও পচা খাবার , কখনও রেলের সার্ভিস একেবারেই নিম্ন মানের আরও কত কি খারাপ ঘটনা ঘটে থাকে। খারাপের সঙ্গে ভালো অনেক ঘটনাই ঘটে। যেমন প্রায়ই শোনা যায় ট্রেনের মধ্যে বাচ্চা প্রসবের ঘটনাও। ঠিক তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল তিরুবনন্তপূরম-শিলচর আরোনাই এক্সপ্রেস-র সঙ্গে বর্ধমান স্টেশনও।

মাস ছয়েক আগে কেরলে সস্ত্রীক কাজে গিয়েছিলেন রবীন মার্ডি। সেখানে রাজমিস্ত্রির যোগালদারের কাজ করেন। স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাড়ি ফেরার জন্য রেলগাড়ির টিকিট কাটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু টিকিট মেলেনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিরুবনন্তপূরম-শিলচর আরোনাই এক্সপ্রেসের টিকিট কাটেন। সেইমতো তারা রেলগাড়িতে উঠেও যান। হটাৎই মাঝরাস্তায় ঘটে বিপত্তি। মাঝরাস্তাতেই হটাৎই রবীনের স্ত্রী টেরেসার প্রসব যন্ত্রনা ওঠে। ঠিক সেই মতো রেল কর্তৃপক্ষ বর্ধমান স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে গাড়ি থামায়। স্টেশনএ দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক থেকে নার্স সকলেই হাজির হয়ে যান সেই রেল গাড়িতে। নির্বিঘ্নেই ট্রেনের মধ্যে প্রসব হয় । একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন টেরেসা হাঁসদা। মা ও সন্তান দুজনেই ভাল আছে বলে জানা গিয়েছে।

ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কানাইয়াবাড়ির মারিয়া গ্রামে। তাদের আরও দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। একটি সন্তানকে নিয়ে তারা কেরলে এসেছিলেন। তাদের আরও একটি সন্তান তাদের গ্রামের বাড়িতে থাকে। এরপর সুষ্ঠুভাবেই নবজাতককে নিয়ে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রুবিনার কথায় -‘ রেলের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ থাকব। ওঁরা যে আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন তা কখনোই ভাবিনি। ভারতীয় রেল এবং তাদের কর্মীদের আমরা আজীবন মনে রাখব’।

ফোর্টিন টাইমলাইন , বর্ধমান।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close