অমরনাথ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজ্যের অনেকেই। তার মধ্যে রাজ্যে প্রথম মৃত্যু হ’ল বারুইপুরের এক ২২ বছর বয়সের কলেজ পড়ুয়ার। মৃত ওই কলেজ ছাত্রীর নাম বর্ষা মুহরী। তার বাবার নাম চন্দন মুহরী ও মায়ের নাম নিবেদিতা মুহরী । বারুইপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তারা। হড়পা বানের স্রোতে নিবেদিতা মুহরীকে ভেসে যেতে দেখে থাকতে পারেননি তার মেয়ে বর্ষা । ঝাঁপিয়ে পরেন মাকে বাঁচানোর জন্য। হরপা বানে অকালে প্রাণ হারায় বর্ষা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ষা মুহরী তার মা-বাবা ও মামা সহ আরও তিন জন সম্মিলিতভাবে অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু আর ফিরে আসা হ’ল না তার। মাকে বাঁচাতে গিয়ে স্রোতের সঙ্গে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ বর্ষা মুহরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারে তার মৃত্যুর খবর এলে কান্নায় ভেঙে পরেন তারা। কলেজ পড়ুয়ার এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত এলাকাবাসী।
সোমবার সকালে বর্ষা মহুরীর মৃতদেহ দমদম বিমানবন্দরে কফিনবন্দি হয়ে পৌঁছয়। সারারাত জেগে ছিলেন পরিবার সহ সমস্ত এলাকাবাসী। সোমবার বারুইপুরের কৃত্তনখোলা শ্মশানে তার মৃতদেহটিকে সৎকার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, বারুইপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।