তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের মধ্যেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রের খবর ,ঘটনাটি ঘটেছে পুণ্ডিবাড়ি থানার মহিষবাথান এলাকায় ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানা গেছে ,এই ঘটনায় সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের গেটে বেঁধে রেখে ব্যাপক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পাশাপাশি ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশের গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ওই স্কুলে পিংকি বর্মন নামের এক মহিলা প্রতিদিন স্কুল ঘর খোলা, বন্ধ করা-সহ অন্যান্য কাজকর্ম করে থাকেন। শুক্রবার স্কুল শুরুর আগে ওই মহিলার পরিবর্তে তার স্বামী অতীন বর্মন সেই কাজ করার সময় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার বিষয়টি দেখতে পান। অন্যদিকে ঘটনার পর শিশুটি ভয়ে দু’দিন কাউকে কিছু বলেনি। তারপর শিশুটির পরিবারের লোকজন তার অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপর সোমবার বিদ্যালয় শুরুর আগেই শিশুটির পরিবারের লোকজন সহ অন্যান্য শিশুদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পেরে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের গেটে বেঁধে রেখে ব্যাপক মারধর শুরু করেন।
এরপরেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে নিয়ে যায়। তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হলেই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।