মহা অষ্টমীর সকালে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে যখন বৃষ্টির ভ্রুকুটি, ঠিক সেই সময় উত্তরের আকাশে যেনও মিছিল করে উড়ে চলেছে আশ্বিনের মেঘ। পেঁজা তুলোর মতো রাশি রাশি মেঘ হিমালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। সোমবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গের কিছু শহরে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় কিন্তু বৃষ্টি ভুগিয়েছে দর্শনার্থীদের। সপ্তমীর রাতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকাতে হাতে ছাতা নিয়েও দর্শনার্থীরা বেরিয়েছিলেন সপ্তমীর রাতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সামিল হতে।
মঙ্গলবার অষ্টমীর সকালে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পূজো মণ্ডপে লাল পেড়ে শাড়ি পড়ে হাতে ভোগের থালা নিয়ে অসংখ্য মন্ডপে হাজির হয়েছেন অঞ্জলি দিতে। মায়েদের সঙ্গে কম বয়সী মেয়েরাও শাড়ি পড়ে সঙ্গ দিয়েছেন। সংসারে শান্তি রক্ষার্থে কিছু পুরুষেরাও মণ্ডপে পাড়ি জমিয়েছেন অঞ্জলিতে সহযোদ্ধা হতে।
বাস্তবে মহানগরী কলকাতার রমণীরা যখন জলকাদায় অবগাহন করে মন্ডপে মন্ডপে ঢুকছেন, ঠিক সেই সময় হাসিমুখে উত্তরের রমণীরা মাতৃ দর্শনে রঙিন শাড়ি পড়ে হাজির অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে।
পবিত্র কমল রায়, বিশ্বনাথ দাস, অভিষেক সাহা, বাপ্পা হালদার এবং প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।