উত্তবঙ্গের চার জেলার দলীয় সভাপতি, মন্ত্রীদের ঠুঁঠো করে সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হল এই অঞ্চলের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মোশারফ হুসেনকে। তিনি গতবছরের বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহার বিধাসভা ক্ষেত্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইটাহার বিধাসভা কেন্দ্রটি বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র এই অঞ্চলের প্রবীণ বিধায়ক এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালাও প্রবীণ নেতা এবং গোলাম রব্বানী সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাস্চিক বরাইক এবং জলপাইগুড়ির মহুয়া গোপ। দলের ওজনদার নেতা-নেত্রীদের টপকে সংগঠন দেখার দায়িত্ব তরুণ নেতাকে দেওয়ায় দলের নিচুতলার কর্মীরা অনেকেই হতবাক। তবে এবিষয়ে গোলাম রব্বানীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ হলে, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
অন্যদিকে, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানিয়েছেন, তিনি উত্তরবঙ্গের এই ৪ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন এবং তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি তাঁর দেওয়া এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জ থেকে শুভম সরকারের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা