শিলিগুড়ির ইস্টার্ণ বাইপাস, ঠাকুরনগর এলাকায় প্রশাসনের নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই লোহার ব্রীজ বানিয়ে চলছিল নদীর চর দখল। ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে আসতেই ব্রীজের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় সেচ দপ্তরের দ্বারা। বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় রাত্রের অন্ধকারেই ব্রিজের কাজ সম্পুর্ন করার চেষ্টা চালান জমির মাফিয়ারা।স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে এমনই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জমি মাফিয়াদের স্বৈরশাসন রুখতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার দলীয় কর্মিদের সংযত হওয়ার কথা বললেও, শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়া রাজ অপ্রতিরুদ্ধ।
অবৈধভাবে শিলিগুড়ির স্থানীয় এলাকার সাহু নদীর চর দখল করে, সেতু তৈরির অভিযোগ উঠে এসেছিল। যদিও এলাকাটি, বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের, জলডুমুরের পরেই। সূত্রের খবর, গত ২৩ মার্চ আধিকারিকরা এবং ডাবগ্রাম-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেদিনই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার।
সরকারি অনুমতি ছাড়াই, কিভাবে নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ হল? এপ্রশ্নের কোনো উত্তর মেলেনি। প্রশাসন সূত্রের খবর, নদী ও তৎসংলগ্ন এলাকার জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলেও দেখাতে পারেনি জমির মালিকেরা। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ বিডিও,সেচ দপ্তরের আধিকারীকদের উপস্থিতিতে ও এনজেপি থানা ও আমবাড়ি ফাড়ির সহযোগিতায় বিরাট পুলিশবাহীনির উপস্থিতিতে সেই অবৈধ লোহার ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলে প্রসাসন। তবে সেই কাজে সাময়িক বাধা এনেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, পুলিশ তাদের হটিয়ে দিয়ে ঠাকুরনগর জলডুমুরের অবৈধ লোহার সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। এমন অনৈতিক কাজের উদেশ্যে নিন্দা করেছেন রাজগঞ্জ বিডিও পঙ্কজ চ্যাটার্জি ও প্রধান সুধা সিংহ রায়।