পুত্রের বদলে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় খুন হতে হল এক গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের চুবকা অঞ্চলের বেনাডিতে। বিয়ের এক বছরের মাথায় ওই গৃহবধূকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে।
সূত্রের খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম সবিতা চালক, বয়স ২০ বছর। গত বছর এপ্রিল মাসে ঝাড়গ্রাম থানার চুবকা অঞ্চলের বেনাডি গ্রামের বাসিন্দা সোনু চালকের সঙ্গে বালিশিরা গ্রামের সবিতার দেখে শুনে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে যৌতুক দেওয়া হয়। তবে ছেলের বাড়ি থেকে নগদ ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের পক্ষে যতটা দেওয়া সম্ভব তারা দিয়েছেন। তারা বিয়েতে খাট, আলমারি, গয়না ও জামাইকে একটি সাইকেল দিয়েছিলেন। তার বেশি কিছু দিতে না পারায় তাদের মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আড়াই মাস আগে সবিতা কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ফোন করে অত্যাচারের কথা জানাতেন সবিতা। মেয়ে ও জামাইকে একাধিকবার মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দেন তার বাবা। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সবিতা তার মা প্রতিমা চালককে ফোন করে জানিয়েছিল জামাই ষষ্ঠীর দিন তিনি স্বামীকে নিয়ে চলে যাবেন।
সেদিনই সবিতার বাড়ির সদস্যদের কাছে ফোন যায় যে, ঘর থেকে তাদের মেয়ের ঝুলন্তদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তরফে দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোনু ও প্রতিমা সন্ধ্যায় পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছে তারা জানতে পারেন সবিতার দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকেদের হাসপাতাল চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরই থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফোর্টিন টাইমলাইন, ঝাড়গ্রাম।