ডানকুনি পুরসভার তৃনমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ বৃদ্ধের। অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলরের। এসব করা যাবে না ডেকে বলে দেওয়া হবে বলে জানাল তৃনমূল নেতৃত্ব।
ডানকুনি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা বছর বাষট্টির কালাচাঁদ সেনগুপ্তর সঙ্গে প্রতিবেশির জমির সীমানা নিয়ে বচসার সৃষ্টি হয়। মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত হয়েছে। কালাচাঁদবাবুর অভিযোগ, তিনি কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর জমির সীমানা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেন। এতেই ক্ষেপে ওঠেন ওই ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকজন নিয়ে গিয়ে কালাচাঁদবাবুর বাড়িতে চড়াও হন এবং কাঁটাতার সরিয়ে ফেলতে বলেন।
কালাচাঁদবাবু বলেন, আদালতের রায় আছে তার পক্ষে। সে কথায় কর্ণপাত না করে কাউন্সিলর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বৃদ্ধের মেয়ের দাবি এই ঘটনার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাইরে বেড়োতেও ভয় পাচ্ছেন। ঘটনার তারা ডানকুনি থানায় ও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ জানান। পুলিশের পক্ষে ডানকুনি থানা থেকে একজন অফিসার তাদের ফোন করে আস্বস্ত করেন বিষয়টি দেখা হবে বলে।
অভিযোগ, অস্বীকার করে তৃনমূল কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি কোনও হুমকি দেননি। যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই বৃদ্ধই পাড়া প্রতিবেশিদের সঙ্গে অশান্তি করেন। সবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। গোটা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন। একটা ক্যামেরা অন্যের বাথরুমের দিকে। এসব করতে বারন করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি কাউন্সিলরের।পাড়ায় অশান্তি না করে আপোষে মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই বৃদ্ধা কাউন্সিলরের কথায় কর্ণপাত করতে নারাজ। তার ওয়ার্ডে কোনও ঝামেলা হলে তিনি এগিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। এদিন পুলিশের কাছে ব্যাপারটি জানতে পেরেই তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন।
তৃনমূল সাধারন সম্পাদক দিলীপ যাদব জানান, “ওই কাউন্সিলরকে ডেকে বলব যদি কোনও ভুল করে থাকে তা সংশোধন করে নিতে। আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। দলের কর্মী দলের নেতাদের জন্য মানুষ কষ্ট পাবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। বৃদ্ধ এবং তার পরিবারকে বলব ভয় পাবার কিছু নেই”।
Fourteen Time Line, Dankuni, Hooghly