ব্যান্ডেল সাহাগঞ্জের সনৎ কুমার মন্ডল চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গত ১১ জুন। তার এসবিআই এ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় চেক ভাঙিয়ে। গত ২৪ মে মোবাইলে মেসেজ আসার পর সনৎবাবু তা জানতে পারেন। বেঙ্গালুরুতে চাকরি করেন সাহাগঞ্জের বাসিন্দা সনৎ মন্ডল। ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে পাশবই আপডেট করে জানতে পারেন তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে চেক থেকে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তোলা হয়। অথচ যেই চেক ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়েছে সেই চেক সনৎবাবুর কাছেই রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ ১৬ তারিখে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমডাঙার সুরজ হোসেনকে প্রথম গ্রেফতার করে। এরপর আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা।
তদন্তে দেখা যায়-সুরজ হোসেনের এ্যাকাউন্টে সেই চেকের টাকা ঢুকেছে। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জেরা করে বিরাট প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলেছে। রীতিমত চেক ছাপিয়ে বিভিন্ন মানুষের এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হত। ধৃতদের থেকে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, প্রিন্টার, মাইক্রো এস ডি কার্ড, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চেক বই, ৯ টা মোবাইল ফোন, সনৎ মন্ডলের স্পেসিমেন সই উদ্ধার করা হয়েছে। নৈহাটির একটি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা হয়েছিল সেখানকার সিসি টিভি ফুটেজ তদন্তে কাজে লাগায় পুলিশ। সোমবার চুঁচুড়ায় সাইবার ক্রাইম থানায় ডিসিপি চন্দননগর নীধি রানী, এসিপি ডিডি বিশ্বজিৎ নস্কর সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ডিসিপি বলেন, একজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। খুব দ্রুত প্রতারনা চক্রের হদিশ মেলার পর তাদের গ্রেফতার করা হল। টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
হুগলির চুঁচুড়া থেকে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর রিপোর্টি, টাইমস ফোর্টিন বাংলা ।