সম্প্রতি, এভারেস্ট লোৎসের মেঘ ছুঁয়ে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালী বসাক। ধৌলাগিড়ি, মানাসুলু সহ মোট চারটি আট হাজারি শৃঙ্গে পা রাখা পিয়ালীর এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিয়েছে পরিবারের মধ্যে। পিয়ালীর জন্য পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন বাম ছাত্র যুব মহিলারা।
পিয়ালী এভারেস্ট জয় করে ২২ মে। তার দুদিন পর লোৎসে জয়। কাটমান্ডুতে ফিরে নেপাল এজেন্সির থেকে দুই শৃঙ্গ জয়ের শংসাপত্র হাতে নেওয়ার কথা তার। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী এখনো তার প্রায় দশ লক্ষ্য টাকা বাকি এজেন্সির কাছে। সেই টাকা শোধ না করলে মিলবে না শংসাপত্রও। বাম সংগঠন অর্থ করলেও ১০ লক্ষ টাকা যে বহুদূর।এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে কোথ্বেকে তা নিয়ে চিন্তায় চন্দননগরের মানুষ। এমতাবস্থায় সরকারি কোনও সাহায্য মেলেনি পিয়ালীর বলেও অভিযোগ।
যদিও পিয়ালীর জন্য এগিয়ে এসেছেন বাম ছাত্র যুবরা। পিয়ালীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করে চলেছেন যথাক্রমে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, মহিলা সমিতি ও রেড ভলান্টিয়াররা।
শ্রীরামপুর সিপিআইএম-এর জেলা অফিসে সিপিএম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ জানান- ছাত্র যুবরা যে অর্থ সংগ্রহ করে তার সঙ্গে সিপিএম রিলিফ ফান্ড থেকে দিয়ে মোট এক লক্ষ টাকা পিয়ালীর একাউন্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চন্দননগর রেড ভলান্টিয়াররা আলাদা করে পঁচিশ হাজার টাকা পিয়ালীর মায়ের হাতে দিয়ে এসেছেন।
সিপিএম সম্পাদক আরও বলেন- পিয়ালী শুধু চন্দননগর বা হুগলীর গর্ব নয়, গর্ব গোটা রাজ্যের । তার এই সাফল্য অর্থের কারনে যেনও বাধা না পায় সে কারণেই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পিয়ালীর পাশে দাঁড়াতে চন্দননগর কর্পোরেশন, বিধায়ক ও জন প্রতিনিধিদের কাছেও আবেদন করেন দেবব্রত ঘোষ। এই মুহূর্তে পিয়ালীর সাফল্য দেখতে মুখিয়ে সকলেই।
হুগলির চন্দননগর থেকে পলাশ চক্রবর্তীর রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা ।