Howrah: সরকার নব্বই শতাংশ ঋণ দিয়ে সবুজ বাজি কারখানা গড়বে

আরও পড়ুন

রীতিমতো পরিবেশবান্ধব ‘সবুজ বাজি প্রস্তুত, মজুত এবং বিক্রয় সংক্রান্ত নতুন নীতি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতরের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।প্রকল্পের কাজে নজরদারির জন্য জেলা এবং রাজ্যস্তরে দু’টি পৃথক কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করা হয়ে হয়েছে। নতুন নীতিতে, পরিবেশবান্ধব ‘সবুজ বাজি’ উৎপাদনের জন্য ক্লাস্টার তৈরির ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। এই সাহায্য কীভাবে দেওয়া হবে তা জানানো হয়েছে সবুজ বাজি উৎপাদন, মজুত ও বিক্রয় সংক্রান্ত নতুন সরকারি নীতিতে। কয়েকদিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নীতি অনুমোদনের পরই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসনের সাহায্যে ক্লাস্টারের জমি চিহ্নিতকরণ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রাথমিক কাজ দফতর করে দেবে। সরকারি ফাঁকা জমি চিহ্নিত করে এমএসএমই দফতরকে ৩০ বছরের জন্য লিজে সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করার কাজে সাহায্য করবেন জেলা শাসকেরা । যে সমস্ত ব্যবসায়ী নিজেদের কেনা জমিতে ক্লাস্টার তৈরি করার কাজ করবেন, তাঁদের মোট খরচের ৯০ শতাংশ সরকারের তরফে দিয়ে দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে। কিস্তির প্রথম টাকা দেওয়া হবে জমি মেরামত, জমির চার দিকে দেওয়াল তোলা এবং ভিতরে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিলবে ক্লাস্টারে বিদ্যুৎ সংযোগ আসা এবং নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হওয়ার পর। তৃতীয় এবং শেষ কিস্তি দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট জমিতে সমস্ত ইউনিট কার্যকর হওয়ার পরে। পাশাপাশি, নতুন নীতিতে সরকার রাজ্যের সমস্ত বাজি প্রস্তুতকারকের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা নিরি-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত খরচও সরাকরের কোষাগার থেকেই খরচ করা হবে । উৎসবের মরসুমে বিকল্প বাজি বাজার কোথায় বসতে পারে, সেটাও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে বলে স্কিমের ঘোষণায় জানানো হয়েছে।কোনও উৎসবের সময় লোকালয় থেকে দূরে কোনও ফাঁকা জায়গায় সাময়িকভাবে বাজি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবে জেলা প্রশাসন। জেলা পর্যায়ের বিশেষ কমিটি এই অনুমতি দেবে।
নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘শিল্প সাথী’ পোর্টালে বাজি উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির জন্য লাইসেন্স পেতে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। উৎপাদকরা ‘বঙ্গশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সুবিধা পাবেন।

তবে সরকারিভাবে নথিভুক্ত এমন বাজি কারখানা নির্মিত হলে বিস্ফোরণের মতন অনভিপ্রেত ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।

হাওড়া থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close